তিন টাকায় ডিম কিনতে এসে মারামারি ভাঙচুর

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:৪৯ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ডিম মেলায় মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ডিম না পেয়ে ক্ষুবদ্ধ জনগণ বিক্ষোভ করেছে। এসময় ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে পড়ে ডিম বিতরণের অস্থায়ী মঞ্চ। মানুষের হুড়োহুড়িতে অসংখ্য ডিম নষ্ট হয়েছে।

তিন টাকায় ডিম কিনতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে লাইনে দাঁড়ায় ক্রেতারা। নয়টার দিকে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আসেপাশে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

সকাল দশটার আগে কয়েক জনের কাছে ডিম বিক্রি করলেও এরপর অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য ডিম বিক্রি বন্ধ রাখে আয়োজকরা। দুপুর সাড়ে এগারটার দিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ক্রেতারা ইটপাটকেল মারতে থাকে ডিমবিক্রির স্থানে। এক পর্যায়ে আয়োজকদের ডিম বিক্রির প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে। এতে কেউ কেউ আহত হয়। অসংখ্য ডিম ভেঙে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাটিপেটা করে।

ক্রেতারা জানান, আয়োজকরা সবার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর বিচার হওয়া উচিত। তাদের  ক্ষমা চাওয়া উচিত। এসময় ক্ষুব্ধ জনতা ভুয়া ভুয়া ও ডিম চাই ডিম চাই বলে বিক্ষোভ করতে করতে চলে যায়।

মিরপুর থেকে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, আজ ছুটির দিন হওয়ায় ডিম কিনতে আসলাম। এসে আমি হতাশ। এত প্রচার কিন্তু কোথায় ডিম বিক্রি হচ্ছে। সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত তো একটা ডিম বিক্রি করতে দেখলাম না।

বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাসিবুল ইমলাম বলেন, আমরা আয়োজকদের বিচার চাই। আমাদের এ হয়রানি তারা কেন করলো।

বিপিআইসিসির সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ হয়েছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা এক লাখ ডিম বিক্রির চিন্তা করেছিলাম কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা ডিম সম্পর্কে জনগণের মাঝে ম্যাসেস দিতে পেরেছি।

১৩ অক্টোবর আজ শুক্রবার উপলক্ষে খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশেষ ছাড়ে ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাপ ও  হুড়োহুড়ির কারণে দুপুর বারটায ডিম বিক্রি বন্ধ করে দেয় বর্তৃপক্ষ।

মৎস ও প্রনিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যেভাবে প্রচারণা করা হয়েছে সেভাবে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়নি। ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ছিল।’

ক্রেতারা বলছে তাদের ডেকে এনে প্রতারণা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/জেআর/জেডএ)