ফাতেমা অপহরণের স্বীকারোক্তি তিন ইউপিডিএফ কর্মীর

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৪৯

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় যাত্রীবাহী বাস থেকে গৃহবধূ ফাতেমা বেগমকে অপহরণের ঘটনায় আটক পাঁচ ইউপিডিএফ কর্মীর মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু।

বৃহস্পতিবার বিকালে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদের আদালতে তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এরা হচ্ছেন- কমলা দেবী চাকমা (৫০), চিন্তা রানী চাকমা (৩৫) ও সুশিল চাকমা (২০)।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটি শেষে স্বামী মো. নাজমুল হোসেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে নিয়ে বাসযোগে (বিছমিল্লাহ পরিবহন) কর্মস্থল চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথে গুইমারার বাইল্যাছড়ি সাইনবোর্ড এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)‘র ১৫/১৬ জন কর্মী বাসের গতিরোধ করে ও স্বামীর পাশে বসা ফাতেমা বেগমকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় স্বামী মো. নাজমুল হোসেন বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকেও অপহরণের হুমকি দেয়।

প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে (০১/১১/২০১২ইং) খাগড়াছড়ির পানছড়ির লোগাং বাজার পাড়ার মনতাজ মিয়ার ছেলে মো. নাজমুল হোসেন ভালোবেসে বিয়ে করে বজেন্দ্র মাস্টার পাড়ার ফলেন্দ্র ত্রিপুরার মেয়ে নয়না ত্রিপুরাকে। বিয়ের আগেই স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নয়না ত্রিপুরা ফাতেমা ফাতেমা বেগম নাম ধারণ করে।

তারপর থেকেই তারা সুখে-শান্তিতে দাম্পত্য জীবন-যাপন করে আসছেন। বিয়ের এক বছরের মধ্যই তাদের কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি ও ১নং রাবার বাগান এলাকা থেকে পাঁচ ইউপিডিএফ কর্মীকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইউপিডিএফের কর্মী ও গৃহবধূ ফাতেমা বেগমকে অপহরণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। তবে আদালতে গিয়ে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :