অভিযোগ নিষ্পত্তির আগে দায়িত্বে ফিরতে পারবেন না সিনহা: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:৫৫ | প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৪১

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ যে সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে এগুলো দুদকের আওতাধীন। প্রথমে এসব অভিযোগের অনুসন্ধান হবে। অনুসন্ধানে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সেটা রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।

রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাব দিতে এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো কেন এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ থাকলে সেটা মামলা–মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়াতে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আইন অনুযায়ী বিচারপতি সিনহা এখনও প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি পদটি একটি প্রতিষ্ঠান ও সাংবিধানিক পদ। ফলে তার বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো বা খামখেয়ালি করে কিছু করা সমীচীন হবে না।’

আনিসুল হক বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক মহল কোনো ইস্যু না পেয়ে খড়কুটো দিয়ে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা এ নিয়ে বিতর্ক করছে, তাদের একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হাসিল হয়নি বলেই তাদের এই মায়াকান্না।’

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিবের লেখা চিঠির বরাত দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন- রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা এক চিঠিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন দীর্ঘদিন বিচারকার্জ পরিচালনা করায় ও অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এই অবসাদ দূর করার জন্য তার বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন। তার এই চিঠির আলোকেই সরকার প্রধান বিচারপতিকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রত্যেকটি চিঠি স্পষ্ট এবং এগুলো আমাদের কাছে আছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনো সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না।’

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে লিখিত চিঠিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো রেওয়াজ নেই। তিনি শুধুমাত্র রুটিন মাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করলে এটি সহজেই অনুমেয় যে, সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে এবং এর দ্বারা বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংবিধানের ৯৭ ধারা উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘আমাকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্য আইনসংগত নয়।’অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি প্রশাসনিক পরিবর্তন আনতে পারবেন।

ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/এমএম/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :