ভারত-পাকিস্তান থেকে নানা ক্ষেত্রে বহু এগিয়ে বাংলাদেশ

শেখ আদনান ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৭

নিজের দেশকে, নিজেকে ফকির মনে করা আমাদের জাতীয় অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বদেশের একটা মলিন ও গরিবি চেহারা আঁকতেই আমরা অভ্যস্ত। বাংলাদেশের শিশু জন্মের পর থেকেই জানতে শিখে যে বিদেশ ভালো, স্বদেশ খারাপ। বছরের পর বছর শুধু নেতিবাচক সংবাদ প্রচারের ফলে মানুষের মগজে এমন ধারনা গেঁথে যায়। ফলশ্রুতিতে শিক্ষিত সমাজের সদস্যদের দেশ ছেড়ে বিদেশ চলে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। সবচেয়ে মেধাবি ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার প্রতিষ্ঠান বুয়েটের দিকে তাকালেই আমার কথার সত্যতা মিলবে। এরপরেও বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থ হয়ে যায়নি, অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে।

যে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ, সে পাকিস্তান তো বটেই, পাশের বিশাল দেশ ভারতকেও অনেক ক্ষেত্রে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ক্রয়ক্ষমতা, সামাজিক শান্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারী শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, চাকরির স্থিতি ইত্যাদি নানা সূচকে ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

আলোচনায় যাওয়ার আগে সবাইকে ইতিহাসে মনোযোগী হতে অনুরোধ করব। পুরো ব্রিটিশ আমলে অবহেলিত ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গ। মুসলিম অধ্যুষিত ছিল বিধায় মুসলিম শাসক নবাব সিরাজকে ষড়যন্ত্র দিয়ে পরাজিত করা ইংরেজ শাসকশ্রেণী এবং পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জমিদার ও এলিট শ্রেণি সম্মিলিতভাবে পূর্ববঙ্গের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করত। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বলতে গেলে কিছুই করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টো আমাদের সব সম্পদ এরা পাচার করেছে। আর সে অর্থ দিয়ে গড়ে উঠেছে লাহোর, করাচি কিংবা ইসলামাবাদের মত বড় বড় নগরী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এবং ঘোষণায় পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা এবং ২ লাখ মা-বোনের উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েও বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম ঠেকাতে পারেনি পাকিস্তানিরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রায় সব বড় বড় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসররা।

স্বাধীন বাংলাদেশে শুরু হয় নতুন করে ষড়যন্ত্র। জাতির পিতাকে প্রায় পুরো পরিবারসহ হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। একই বছর ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার মানসে সেনাবাহিনীর ভেতরে বাইরে শত শত মুক্তিযুদ্ধপন্থী ব্যক্তিদের ধরে ধরে হত্যা করা হয়। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ সামরিক শাসন। সর্বশেষ সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের পতন হলে নতুন করে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় তাতেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। যদিও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশের। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই শুধু হত্যার জন্য ২০ বার চেষ্টা চালায় ৭১ এর পরাজিত শক্তি। গত দুই বছর বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-পেট্রোল বোমার সন্ত্রাস বন্ধ থাকলেও নিকট অতীতেই দেশবাসী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কুফল ভোগ করেছে। এতকিছুর পরেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নানা ক্ষেত্রে নানা কিসিমের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফলে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকেই ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে।

খাদ্য উৎপাদন আর সরবরাহে গতি আসার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ভারত ও পাকিস্তানে যেখানে গড় আয়ু যথাক্রমে ৬৮ এবং ৬৬ বছর, সেখানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রতিবছর ইনক্লোসিভ ইকোনমিক গ্রোথ ইনডেক্স নামে একটি রিপোর্ট প্রদান করে। সম্পদ ও জীবনমানের বৈষম্য কোনদেশে কত, এটি অর্থনীতির নানা হিসেব করে বের করা হয়। এ প্রতিবেদনে দেখা হয়, একটি সমাজে গুটিকয়েক ব্যক্তি একাই বিত্তশালী হয়ে যাচ্ছে, নাকি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুপ্রভাব সমাজের অধিকাংশ মানুষের জীবনে পড়ছে। ২০১৬ সালের প্রতিবেদন পেশ করা হয় চলতি বছর সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে। 'অন্তর্ভুক্তিকর' প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সূচকে ভারত ও পাকিস্তান থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ১৬ ধাপ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৭ সালের 'ইনক্লোসিভ গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট ইনডেক্স (আইডিআই)' শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক উন্নয়নের মানদণ্ডে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৬তম। অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রতগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ ভারতের অবস্থান ৬০ এবং পাকিস্তানের ৫২তম। 'আইডিআই'অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে হিমালয়ের দেশ নেপাল। প্রতিবেদন অনুযায়ী নেপালের অবস্থান ২৭তম। বিশ্বের ৭৯টি দেশ থেকে সংগৃহীত নানা তথ্য, উপাত্ত ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রতিবছর এই প্রতিবেদন তৈরি করে। সুইজারল্যান্ডের ডাভোস শহরে অনুষ্ঠিত ৪৭তম বার্ষিক সভা উপলক্ষে ইকোনমিক ফোরাম। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, 'অন্তর্ভুক্তিকর' প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সূচকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের অবস্থান ১৫ তম।

এদিকে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকেও ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে ৮৮তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ সালে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের করা এই তালিকায় বাংলাদেশ ৯০তম স্থানে ছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে ভারত (১০০), পাকিস্তান (১০৬) ও আফগানিস্তান (১০৭)।

১২তম বারের মত বার্ষিক ক্ষুধা সূচক প্রকাশ করা ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট চারটি বিষয়ের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রণয়ন করে। সেগুলো হচ্ছে অপুষ্টি, শিশু মৃত্যুহার, এবং তীব্র ও ধারাবাহিক শিশু অপুষ্টির হার। তালিকায় ১১৯টি দেশের অর্ধেকের বেশি আশঙ্কাজনক, বিপর্যয়জনক ও গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল (৭২), মিয়ানমার (৭৭) ও শ্রীলংকার (৮৪) নিচে রয়েছে বাংলাদেশ।

গড় আয়ুতে যেমন বাংলাদেশ এগিয়ে, তেমনি গড় আয়ের দিক থেকেও বাংলাদেশের মেয়েরা ভারত ও পাকিস্তানের মেয়েদের তুলনায় এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ এবং এ শিল্পে মূলত মেয়েদের কর্মসংস্থান এমন বাস্তবতা তৈরি করেছে। চাইল্ড হাংগার রেট এর হিসেবেও ভারত ও পাকিস্তান থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে এমন পাঁচ বছর বয়সের নীচের শিশুর শতকরা হার বাংলাদেশে ৩৬.১ শতাংশ। ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্র থেকে এ হার বেশি। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহারও ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের বেশি। বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার ৩৭.৬/১০০০, যা পাকিস্তান থেকে ৫০ এবং ভারত থেকে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ কম।

বাংলাদেশের তরুণ সমাজের ভেতর চাকরির বাজার নিয়ে হতাশা কাজ করে বেশ। তারা হয়ত জানে না যে, স্থিতিশীল চাকরির সংখ্যার বিচারে ভারত ও পাকিস্তান থেকে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের নাগরিকদের চাকরির ৮০ ভাগই ‘নাজুক’। অন্যদিকে বাংলাদেশে ৫৭.৮ শতাংশ চাকরি স্থিতিশীল।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দিক থেকে ভারতের অবস্থান বিশ্বে এখন চতুর্থ। ভারতের উপরে আছে কেবল সিরিয়া, নাইজেরিয়া এবং ইরাক। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘসহ ১৮টি প্রধান উৎস থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে ২০০৯ সাল থেকে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের রিপোর্টে পিউ রিসার্চ সেন্টার ১৯৮টি দেশের উপর এ জরিপ পরিচালনা করে। সাম্প্রদায়িক নেতা নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো মুসলমান এবং নিম্নবর্ণের হিন্দুদের উপর অত্যাচার বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। এই তালিকায় বাংলাদেশের নামই নেই।

সবেচেয়ে বিপদজনক রাষ্ট্রের তালিকায়ও ভারতের অবস্থান উপরের দিকে। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স’ ২০১৬ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতের অবস্থা বুরুন্ডি, সার্বিয়া কিংবা বুরকিনাফাসো এর মত রাষ্ট্র থেকেও খারাপ। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ১৬৩টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৪১তম। ভারতের আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার ফলে ২০১৫ সালে ক্ষতির পরিমাণ ৬৮০ বিলিয়ন ডলার বলে সে রিপোর্টে জানায় অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট ফর পিস অ্যান্ড ইকনমিকস। সবচেয়ে বিপদজনক রাষ্ট্রের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে সিরিয়া। তারপরে আছে সাউথ সুদান, ইরাক, আফগানিস্তান এবং সোমালিয়া।

এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা জানেন কত? ভারতের অবস্থান ১৪১তম, বাংলাদেশের ৮৩তম। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ভারত থেকে ৫৮ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ। সাউথ এশিয়ায় বাংলাদেশের উপরে আছে কেবল ভুটান (১৩তম) এবং নেপাল (৭৮)। অন্যদিকে শ্রীলংকার অবস্থান ৯৭ এবং পাকিস্তানের ১৫৩তম। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় সম্পূর্ণভাবে দ্বন্দ্ব-সংঘাত মুক্ত দেশ আছে পৃথিবীতে এখন মাত্র ১০টি।

জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর পথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। না হলে বাংলাদেশ হয়ত আজ পৃথিবীর অন্যতম উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদায় আসীন থাকত। ১৯৫০ সালে চীনের অবস্থা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকেও খারাপ। অথচ সেই চীন এখন পৃথিবীর অন্যতম অর্থনৈতিক এবং সামরিক পরাশক্তি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে পাকিস্তান থেকে এগিয়ে গেছে। যদিও ভারত বাংলাদেশ থেকে এখানে এগিয়ে। বাজার বিনিময় হারের হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় এক হাজার পাঁচশ আটত্রিশ মার্কিন ডলার, অন্যদিকে পাকিস্তানের মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ এক হাজার চারশ সত্তর ডলার।

দুর্নীতি আর অপচয় না থাকলে বাংলাদেশ নিশ্চয় দ্রুত তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। ১২ শতাংশ দারিদ্র কমিয়ে আনতে পেরেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৫ সালে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ মানবিক ক্ষেত্রে উন্নতিতে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের শেখার আছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশের কাতার ছেড়ে ইতোমধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।

সিপিডির এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বাংলাদেশ হল ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রেমিট্যান্স খাত। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। শিক্ষাব্যবস্থার গলদগুলো দূর করে উৎপাদনমুখী অর্থনীতির কলেবর আরও বাড়াতে পারলে, দুর্নীতি কমিয়ে দেশের তরুণ সমাজকে যথাযথ কর্মের সংস্থান দিতে পারলে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :