জগন্নাথের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ২০:২৬

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটর প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টার স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি, এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় এ ইউনিটের পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল ও নতুন করে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা না করলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন জালিয়াতির দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।

প্রশাসনের প্রতি আহ্বান করে তিনি বলেন, আপনারা দ্রুত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করুন। এই পরীক্ষা আমরা মানি না, মানবো না।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে জালিয়াতিমার্কা পরীক্ষা বাতিল করতে জবি প্রশাসনকে বাধ্য করি। প্রশাসনকে পরীক্ষা বাতিলে বাধ্য না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নষ্ট হয়ে যাবে। অন্যদিকে মেধাশূন্যতায় ভুগবে বিশ্ববিদ্যালয়।

জবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম অনিক বলেন, ভর্তি পরীক্ষার দিন ভিসি স্যার সংবাদ সম্মেলন করে বললেন জবির পরীক্ষায় জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষায় যদি প্রশ্ন ফাঁস না হয় তাহলে পাঁচজন ছাত্রকে কেন পুলিশে সোপর্দ করা হলো? অনতিবিলম্বে পরীক্ষা বাতিল না করলে আমরা পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রোনিয়া সুলতানা বলেন, প্রশ্ন জালিয়াতির সাথে জড়িতরা ধরা খেলে জবি প্রশাসন বলছে শিক্ষার্থীরা সাজেসন্স পড়েছে। সাজেসন্স থেকে কমন পড়েছে। শিক্ষার্থীরা সাজেশন পড়লে কেন তাদের পুলিশে দেয়া হলো? প্রশাসন যদি প্রশ্ন ফাঁস না করে তাহলে কীভাবে প্রশ্ন ফাঁস হলো?

তিনি আরও বলেন, ১২ বছর ধরে পড়ালেখা করে, দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীরা তাদের সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয় তাহলে মেধা ও শ্রমের দাম মূল্যায়ন কোথায় যাবে। যেসব শিক্ষার্থী এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তারাও এক সময় এ কাজের সাথে জড়িয়ে পড়বে। তখন মেধাবীদের জায়গা হবে না বিশ্ববিদ্যালয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোরব/আইএইচ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :