সীমান্তে ফের রোহিঙ্গা ঢল

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ ও সৈয়দ ঋয়াদ, উখিয়া থেকে
| আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:০২ | প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৪২

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার দেড় মাসের মতো পেরিয়ে গেলেও এখনো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা থামছে না। মাঝে কয়েকদিন ধীরগতির পর আবার নতুন করে বাংলাদেশে অভিমুখে ঢল নেমেছে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের।

সোমবার ভোর থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। বিজিবি সদস্যরা তাদের বেরিকেড দিয়ে রেখেছেন।

বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়ানের উপ-অধিনায়ক মেজর আশিকুর রহিম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান করছে। তাদের শুকনা খাবার ও পানি দেয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া তাদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। নিদের্শনা পেলে প্রক্রিয়া মেনে তাদের ঢুকতে দেয়া হবে।

পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গার অধিকাংশ নৌকায় ও পায়ে হেটে বাংলাদেশে এসেছেন বলে একই ব্যাটালিয়ানের ক্যাপ্টেন রুবেল পাঠান জানিয়েছেন।

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা তরুণ মোহাম্মদ রফিক ঢাকাটাইমসকে জানান, সাত দিন আগে আরাকান রাজ্যের গুথিদং জেলার কোয়েনগাইন গ্রাম থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। সাত দিন পায়ে হাটার পর আজ সকাল ছয়টার দিকে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছেন। বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য যেসব রোহিঙ্গা সীমান্তে অবস্থান করছেন তারা সবাই গুথিদং জেলার বাসিন্দা বলে জানান রোহিঙ্গা ওই তরুণ।

স্থানীয় লোকজন, বিজিবি ও সাংবাদিকরা জানিয়েছেন রোহিঙ্গা দমনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দিনের আলোতে এতো বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে দেখেননি তারা। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ফসলের ক্ষেত, আইন ও পানিতে অবস্থান নিয়েছেন।

বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে অনেকে বাংলাদেশ সীমান্তে এসেছেন তারা। এছাড়া অনেকে নৌকায় ও কনটেইনারে ভেসে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেছেন।

তারা আরও জানান, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মিয়ানমার সীমান্তে পরিবার নিয়ে ৫০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অপেক্ষায় আছেন। তারাও সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় আছেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, ভোর থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ প্রবেশের জন্য সীমান্তে অপেক্ষা করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এই সংখ্যা ঠিক কত, তা জানাতে পারেননি তিনি।

কয়েকটি পুলিশি চেকপোস্টে হামলার জের ধরে গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে তারা রোহিঙ্গা নিধন শুরু হরে। ইউএনএইচসিআরের হিসাব অনুযায়ী নির্যাতন থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের অন্তত ১০টি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

তবে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাঈন উদ্দিন আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আনুমানিক ৭ লাখ ৪০ হাজার হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রাণের জন্য রোহিঙ্গারা ঘনঘন ক্যাম্প বদল করায় সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :