বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৩০

বহুল আলোচিত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সফিউল আজম মামলাটির বাদিনী ভিকটিমের আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন।

শুধু আসামি এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উস্থিতিতে (ক্যামেরা ট্রায়ালে) এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ সম্পর্কে ভিকটিম পক্ষে আইন সহায়তাদানকারী মহিলা সমিতির আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাহমুদা আক্তার রিংকি বলেন, সোমবার বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর আসামি সাফায়াতের পক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আংশিক জেরা করেছেন।

গত ৮ অক্টোবর ভিকটিম সাক্ষী না আসায় এবং গত ২৪ জুলাই, ৬ আগস্ট ভিকটিম বাদিনী আদালতে আসলেও আসামি পক্ষের সময় আবেদন এবং ও ১০ সেপ্টেম্বর বিচারক না থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়।

সোমবার আসামি আপন জুয়েলার্সের কর্নধার দিলদার আহমে, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন, আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিব ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ১৩ জুলাই একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন।

এরও আগে গত ৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভেোগপত্র দেন।

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিব, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।

গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।

মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ধর্ষিতা ছাত্রীর বন্ধু। গত ২৮ মার্চ ঘটনার দিন আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের যান ওই দুই ছাত্রী। এরপর ওইদিন তাদের রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ করার সময় আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান। ধর্ষিতরা ভয়ে এবং লোকলজ্জার কারণে এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/আরজে/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :