বরগুনায় পুলিশের প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৯ | প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২০

বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে দেয়া পুলিশী তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, মামলা ও প্রতিবেদন দুটোই ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’।

সেই দাবিতে আজ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন তারা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান ড. সেলিনা হোসেন।

ডৌয়াতলা-কাকচিড়া মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে বিদ্যালয় সংলগ্ন হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রী কলেজ এর শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান ও ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রী কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক ড. সেলিনা হোসেন, হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান মজনু, প্রধান শিক্ষক নুরুল হক খান, বামনা উপজেলা শিক্ষক সমিতিরসহ সভাপতি অঞ্জন চ্যাটার্জি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুজ্জামান খান, ডৌয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুল ইসলাম নিজাম মৃধা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র কেবিনেট নেতা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলামসহ শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন সমাবেশে প্রধান অতিথি ড. সেলিনা হোসেন বলেন, “এমন কোন কাজ করা উচিৎ নয় যা আগামী দিনে আমাদের সন্তানদের বিপরীতে যাবে। তাদেরকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। আজকে এই মানববন্ধনকে নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে আমরা মনে করি এই দুঃখজনক এবং লজ্জা জনক। ঘটনাটি দ্রুত সমাধানের জন্য প্রসাশন এগিয়ে আসবেন। প্রসাশনের দ্বায়িত্ব হবে এই ঘটনাটি অবসান করে স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার মর্যাদাকে সমুন্নত করবে এবং শিক্ষার মর্যাদা যতক্ষণ পর্যন্ত সমুন্নত না হয় একটি জাতি তার মানবিক মর্যাদার জায়গা হারায়। শিশুরা তার অধিকারের জায়গাটা হারায়।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি ডৌয়াতলায় যারা এই অন্যায় কাজ সংঘটিত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের প্রসাশন আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে এর থেকে উদ্ধার করবেন এবং এ ধরনের আচারণ করেছেন তাদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির দাবি করছি।

অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু ও কুচক্রি মহল বিদ্যালয়ের জমি দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা চালায়। পরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে এবং তাঁর উপস্থিতিতেই ওইসব দখলকারীরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের করে দখলকারীদের পক্ষে জনৈক রফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে বরগুনা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো: হারুন-অর রশিদ বাদী পক্ষের কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে একটি মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাই এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অসৎ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে, পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :