সেই পাপনের প্যানেল থেকেই পরিচালক প্রার্থী দুর্জয়!

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ০৭:৫৪ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ১২:০৭

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। এই নির্বাচনে ১৬৭ জন কাউন্সিলর ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত করবেন। এরপর পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। গত জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট পদে পুনরায় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানালেও সময়ের সঙ্গে সেই অবস্থান পাল্টেছেন বর্তমান বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। যতদূর জানা গেছে, তাতে আবারও তিনি বিসিবির হট চেয়ারে বসার জন্য মুখিয়ে আছেন। মানে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন পাপন।

বিসিবির প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিচালক হতে হবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে পাপন পরিচালক হয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দিষ্ট কোটা থেকে। তাই সেবার তার পরিচালক পদে নির্বাচন করার দরকার পড়েনি তার।তবে এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে নয়, তিনি পরিচালক পদে নির্বাচন করবেন ঢাকার ক্লাব ক্যাটাগরিতে থেকে। তবে নির্বাচনী মাঠে প্রতিপক্ষ না থাকায় পাপনসহ প্যানেলের বেশিরভাগ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত নির্বাচনের মতো এবারও পাপন প্যানেলের সামনে ফাঁকা মাঠ। এক সময়ের দাপুটে বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনের আগে আওয়াজ দেন। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে এলে তাকে আর মাঠেই দেখা যায় না। ‘নাই’ হয়ে যান। কদিন আগে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবের। তখনই তিনি জানিয়ে দেন, আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নিবেন না। এমনকি এবার কাউন্সিলরও হননি সাবের। কাজেই এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন পাপন।

প্রেসিডেন্ট পদে এক সময় আগ্রহ ছিল গাজী গ্রুপের কর্ণধার গাজী গোলাম দস্তগীরের। কিন্তু ইদানিং তাকে বিসিবিতেই দেখা যায় না। পরিস্থিতির কারণে ওই পদে তিনি আর আগ্রহী নন। তার ছেলে বিসিবির পরিচালক। ক্রিকেটের সঙ্গে ছেলেকেই সংশ্লিষ্ট রেখেছেন দস্তগীর সাহেব।

বিসিবির প্রেসিডেন্ট হবার যোগ্যতা রাখেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তিনি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে সরকার দলীয় সাংসদ। কিন্তু পপান থাকতে দুর্জয়কে চাচ্ছে না সরকার। গত নির্বাচনে জেলা ও বিভাগীয় কাটাগরি থেকে পরিচালক পদে নির্বাচন করেছিলেন দুর্জয়।

২০১৬ সালে পাপনের সঙ্গে যে ধরনের শীতল সম্পর্ক ছিল দুর্জয়ের, তাতে মনে করা হয়েছিল ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি পাপনের বিরুদ্ধে মাঠ গরম রাখবেন। কিন্তু খারাপ সম্পর্ক পিছনে ফেলে দুজন এখন অনেকটাই কাছাকাছি। উদ্যোগটা নেন পাপনই। চলতি বছরের মে মাসে দুর্জয়ের নির্বাচনী এলাকায় অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন পাপন। এরপর বেশ কয়েকবারই পাপনের সঙ্গে দেখা গেছে দুর্জয়কে।

জানা গেছে, পাপনের প্যানেল থেকেই জেলা ও বিভাগীয় ক্যাটাগরিতে পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন দুর্জয়। অবশ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পাপন যদি কোনও কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষমেশ না করেন তাহলে সুযোগটা নিতে প্রস্তুত দুর্জয়। সাবেক অধিনায়ক বসে পড়বেন বিসিবির হট চেয়ারে। অবশ্য পাপন আবারও প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াচ্ছেন, এটা অনেকটাই নিশ্চিত।

(ঢাকাটাইমস/১৭ অক্টোবর/ডিএইচ)