প্রক্সির অপরাধে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী শ্রীঘরে

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ২২:১৩

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়াই তার প্রধান কাজ। গত বছর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জি’ ইউনিটে সফলভাবে পরীক্ষা দিয়ে পার পেয়ে গেছেন। আর আজ মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন অনুষদ ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসেছিলেন। কিন্তু বিধিবাম, এবার আর সফল হতে পারলেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মনির হোসাইন।

শিক্ষকদের কাছে থাকা ছবির সাথে চেহারা না মেলায় দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলার সময়ে পাবলিক ও হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ২নং কক্ষ থেকে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেন দায়িত্বরত শিক্ষক।

তিনি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (টিনশেড- ১০০৫ নং কক্ষ) আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার খাসকান্দি গ্রামের মৃত কেরামত আলীর পুত্র।

এ ঘটনায় মনিরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সাভারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ এ রায় দেন।

তিনি উমর ফারুক বাবু, রোল-৬২০৩২৫ নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

মনির জানান, মাসখানেক আগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেতু তার সাথে যোগাযোগ করে। এক লাখ টাকার বিনিময়ে জাবিতে ভর্তি করিয়ে দেয়ার জন্য রাজি হয়। পরে চুক্তি অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুর ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। এ সময় পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে প্রবেশপত্রের ছবির মিল খুঁজে না পাওয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক শরিফ হোসেন তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করেন।

এর আগেও মনির হোসেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তি করে প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছেন বলেও জানান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)