ঢাকাটাইমসের সংবাদে মা-বাবার সন্ধান পেল ভারসাম্যহীন শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:৩৯

সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকাটাইমসে টাঙ্গাইলের বাসাইলে নাম পরিচয়হীন এক শিশুর সন্ধান নিয়ে ‘ভারসাম্যহীন এই শিশুটি কার?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি পড়ে একই উপজেলার সোনালিয়া গ্রামের এক যুবক শিশুটি তার বলে দাবি করেন। অভিভাবকের আনা ছবির সাথে ওই শিশুর মিল দেখে ওই রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন নাহার স্বপ্না শিশুটির অভিভাবক বলে আবেদনকারীকে নিশ্চিত করেন।

সোমবার রাতেই বাসাইল থানায় জিডি করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার টাঙ্গাইল সরকারি শিশু পরিবারে শিশুটিকে পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালেই শিশুটিকে আদালতে নেয়ার কথা ছিল। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা ওই রাতেই টাঙ্গাইল সরকারি শিশু পরিবার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিশুটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাসাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, টাঙ্গাইল সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্তাবধায়ক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মোবারক হোসেন, বাসাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা সুলতানা রুবি, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহেদী হাসান আলিম, বাসাইলসংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক ও প্রকাশক এনায়েত করিম বিজয় প্রমুখ।

শিশুটির নাম রতন মিয়া (৮)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া পূর্বপাড়ার বেল্লাল হোসেনের ছেলে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের বাথুলীসাদী বাজারে শিশুটির কান্না করতে দেখে স্থানীয়রা তাকে ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা রাজিকের কাছে নিয়ে যায়। পরে তিনি শিশুটিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন নাহার স্বপ্নার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন।

নির্বাহী অফিসার শিশুটির নাম পরিচয় জানতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে ওইদিন রাতেই উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তাকে টাঙ্গাইল সরকারি শিশু পরিবারে পাঠানো হয়।

শিশুটির বাবা বেল্লাল হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, রতন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমরা সব সময় তাকে চোখে চোখে রাখি। যাতে কোথাও না হারিয়ে যায়। হঠাৎ করে সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে কোথায় যেন চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর মঙ্গলবার ভোরে পাশের এলাকার এক যুবক অনলাইনে দেখে আমাদের খবর দেয়। ওই সূত্র ধরেই আমরা আমাদের সন্তানটিকে ফিরে পেলাম। তিনি তার সন্তান পেয়ে আনন্দিত। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/আরকে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :