কাল আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ০০:১৪ | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪১

যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই আদালতে ছুটতে হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। দুর্নীতির অভিযোগের এক মামলায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার আদালতে হাজিরার তারিখ রয়েছে। সকাল দশটার দিকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন খালেদা জিয়া।

আজ বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত আটটায় বাসায় পৌঁছান খালেদা জিয়া। তিন মাসের বেশি সময় যুক্তরাজ্যে চোখ ও পায়ের চিকিৎসা শেষে আজ সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তিনি। তাকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৫টা ৭ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান মির্জা ফখরুল। অন্য নেতাদের বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে না দেয়ায় তারা বাইরে অপেক্ষা ছিলেন। সেখান থেকে খালেদা জিয়া ৫টা ৩৭ মিনিটে গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে পথে তাকে বিপুল অভ্যর্থনা জানান নেতাকর্মীরা।

খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যাবেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে চিকিৎসা শেষ না করেই দেশে ফিরে এসেছেন।

খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে থাকাকালে গত ১০ দিনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাসহ তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

১২ অক্টোবর পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় ঢাকার দুটি আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ওই দিন খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে ২০১৬ সালে করা মানহানির এক মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার মহানগর হাকিম নুর নবী।

এর আগে বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগের করা মামলায় ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনসহ দলটির ৭৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম।

এসব কারণে আজ খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন নেতাকর্মীরা। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দরের সামনে ও বিমানবন্দর থেকে গুলশানে যাওয়ার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে ফেরার পর খালেদা জিয়াকে নেতাকর্মী ও জনগণ যেভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তাতে প্রমাণ হয় তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।’

চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য গত ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন। তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে দেশে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/বিইউ/জিএম/জেডএ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে: মঈন খান

দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না: সালাম

নির্বাচনের পর বিরোধী দলগুলোর ওপর নানা কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল

বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী জনগণকে সরকার বন্দি করে রেখেছে: রিজভী 

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে আ.লীগের ‘মানা’

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি নেতা হাবিব কারাগারে

উপজেলা নির্বাচন সরকারের আরেকটা ‘ভাঁওতাবাজি': আমীর খসরু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :