দুর্নীতির অভিযোগ: দুই শ্রমিক নেতার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
মাদারীপুর বিদ্যুৎ বিভাগ সিবিএর দুই শ্রমিক নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বুধবার দুপুর ১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগ নেতা, সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিরউদ্দিন আকন। তিনি অভিযোগ করেন, মাদারীপুর বিদ্যুৎ বিভাগের এলডিএ কাম কম্পিউটার অপারেটর জয়নাল আবেদিনের দাপটে অতিষ্ঠ মাদারীপুর বিদ্যুৎ অফিস। তিনি কাজ না করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করছেন। সরকারি বিধান অমান্য করে ঠিকাদারি করে বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া সোমবার সরকারি দলের একাংশের এই নেতা জয়নাল আবেদীন মাদারীপুর ওজেপাডিকো অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ হাওলাদারকে হুমকি ও গালাগাল দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। জয়নাল আবেদিন গত ১৪ মে বিদ্যুৎ বিভাগের লাইন সাহায্যকারী এতোয়ার সেরানিয়াবাতকে ফিডার ইনচার্জ, সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় এতোয়ার সেরানিয়াবাত লিখিত অভিযোগ দিলে নির্বাহী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীনকে গত ১৫ মে ১০ দিনের মধ্যে কারণদর্শানোসহ কৈফিয়ত তলব করলেও অদ্যাবধি সেই কৈফিয়তের জবাব দেননি জয়নাল আবেদিন।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাদ মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সিবিএ সভাপতি সলেমান শেখ, কার্যকরী সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, আবুল কালাম, আবদুল কুদ্দুছ প্রমুখ।
একই দিন সকাল ১০টায় ওজেপাডিকো মাদারীপুর কার্যালয়ে কারিগরী কর্মচারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিবিএর সাবেক নেতা জয়নাল আবেদিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, সিবিএ নেতা এস এ এ মো. নাসিরউদ্দিন আকন, লাইনম্যান আবুল কালাম আজাদ ও মিটাররিডার গিয়াসউদ্দিন মোল্যা বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজেপাডিকোং লি. মাদারীপুর দপ্তরের আওতাধীন অবৈধ মিটার স্থাপন, রিডিংসহ গ্রাহকের পুরানো মিটার গায়েব, বকেয়া পরিশোধ না করলেও নতুন মিটার সংযোগ, ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে কোম্পানির হাজার টাকা আত্মসাৎ, পিচরেট মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারীদের (মাস্টার রোল) কর্মচারীদের নিকট থেকে কমিশন আদায় করছেন। তারা সংশ্লিষ্ট সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে নামসহ ২২ জন গ্রাহকের (নাম ঠিকানাসহ) মিটারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মাহমুদ প্রধানকে আহবায়ক ও সহকারী প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলেও আজ পর্যন্ত তদন্তটি আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন- শ্রমিক নেতা মস্তফা বেপারী, মস্তফা কামাল, শামীম আহমেদ আবদুর রহিম, ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)