সাকিবের দ্বিগুণ পারিশ্রমিক হাথুরাসিংহের

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৪

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোচ চন্ডিকা হাথুরসিংহের চেয়ে অর্ধেক বেতন পান বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। না, ক্রিকেটে এটা মোটেও অসামঞ্জস্য বা বিস্ময়কর কিছু নয়। কোচ ও ক্রিকেটেরদের বেতনের পার্থক্য প্রায় সব দেশেই বিরাজমান।

ইএসপিএনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্রিকেট মান্থলি নিজ নিজ বোর্ড থেকে ক্রিকেটার, কোচদের আয় নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরী করেছে। সেখানে ওঠে এসেছে নানা তথ্য। অন্য ইভেন্টের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্রিকেটারদের আয়ের বিষয়টাও তুলনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে, যেখানে ক্রিকেটাররা অনেকটাই পিছয়ে।

ইউরোপিয়ান ফুটবলে কোচের চেয়ে খেলোয়াড়রা সাধারণত বেশি আয় করে থাকেন। কিন্তু ক্রিকেটে কোচদের বেতন খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে অনেক সময়। তবে বোর্ড থেকে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধে ছাড়াও বাণিজ্যকভাবেও যথেষ্ট আয় করে থাকেন ক্রিকেটাররা। যেটা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

সাকিব, মাশরাফি, তামিম, মুশফিক-বাংলাদেশের শীর্ষ এ চার ক্রিকেটার বোর্ড থেকে বেতন পান মাসে চার লাখ টাকা। এর বাইরে ম্যাচ, ফি, বোনাস ইত্যাদি মিলে বছরে সাকিব বোর্ড থেকে আয় করেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেখানে কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহের বাৎসরিক বেতন প্রায় ২ কোটি ৭৫ রাখ টাকা।

ক্রিকেট মান্থলির প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোচ হচ্ছেন ভারতের রবি শাস্ত্রী। বছরে তার বেতন প্রায় ৯ কোটি টাকা। সব মিলে বোর্ড থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় করেন বিরাট কোহলি।

আয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দামি কোচ হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যারেন লেহম্যান। বছরে তার বেতন ৫ লাখ ৫ হাজার ডলার। তবে অজি অধিনায়ক স্মিথের চেয়ে অনেক কম বেতন পান লেহম্যান।বোর্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় স্মিথের। সে হিসেবেই তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে তার আয় বছরে প্রায় ১.৪৭ মিলিয়ন ডলার।

তৃতীয় দামি কোচ হচ্ছেন ইংল্যান্ডের ট্রেভর বেইলিস। তার বেতন ৫ লাখ ২ হাজার ডলার। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ওটিস গিবসনের বছরে বেতন সাড়ে তিন লাখ ডলার।

নিউজিল্যান্ডের মাইক বেতন পান ২ লাখ ৫ হাজার ডলার। পাকিস্তানি কোচ মিকি আর্থারের বেতন ২ লাখ ২ হাজার ডলার। শ্রীলঙ্কান কোচ নিক পোথাসের বেতন ১ লাখ ৪ হাজার ডলার।

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/ডিএইচ)