মির্জাপুরে সরকারি জমি ও ঘর দেয়ার নামে প্রতারণা

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:১৭

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি খাস জমি বরাদ্দ ও ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অসহায় ও গৃহহীনদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ওই প্রতারকের নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

অভিযোগে জানা গেছে, মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের মৃত ফারেজ আলীর ছেলে হাতেম আলী (৫০) দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অসহায় ও গৃহহীনদের কাছ থেকে সরকারি খাস জমি বরাদ্দ ও ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিনামূল্যে জমি ও ঘর বরাদ্দ পাইয়ে দেয়ার কথা বললেও আবেদন পত্রের ফরম পূরণ বাবদ প্রথমে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক হাতেম আলী। এর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও তিনকপি ছবিও নিয়ে থাকেন। কিছুদিন পর জমি ও ঘর বরাদ্দের অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে জমি রেজিস্ট্র্রি খরচ বাবদ শ্রেণিভেদে পাঁচ হাজার টাকা থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন। 

জমি ও ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এভাবে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের গেড়াকী গ্রামের সায়েদ মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগমের কাছ থেকে ৭ হাজার, একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর স্ত্রী পারুল বেগমের কাছ থেকে ২০ হাজার, পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত গাজী কালুর স্ত্রী হাফেজা বেগম কাছ থেকে ৫৫০০, বাইমহাটি গ্রামের হযরত আলীর স্ত্রী কদভানুর থেকে এক হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

একই কায়দায় বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়া, পোষ্টকামুরী সওদাগরপাড়া, লতিফপুর ইউনিয়নের বান্দরমারা, গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা এলাকার অনেকের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিতে আসা প্রতারণার শিকার লতিফপুর ইউনিয়নের গেড়াকী গ্রামের সায়েদ মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম জানান, তার স্বামী দিনমুজুরের কাজ করেন। টাকার অভাবে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া ছেলের রেজিস্ট্রেশন করতে পারছি না। এত অভাবের মধ্যেও জমি ও ঘরের ব্যবস্থা করে দেবে বলায় হাতেম আলীকে প্রথমে দুই হাজার এবং পরে আরও পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। 

বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়া গ্রামে অন্যের বাড়িতে বসবাস করেন মৃত গাজী কালুর স্ত্রী হাফেজা বেগম।

তিনি বলেন, হাতেম আলী সরকারী জমি ও ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

অভিযুক্ত হাতেম আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। 

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/ইএস