রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে চান কিসিনিয়া

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:২৩ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৫৫

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

প্রায় দু’দশক ধরে রাশিয়ায় কর্তৃত্ব চলছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।  ২০১৮ সালের মার্চে সেখানে আবারও ভোট।  সামনের ওই ভোটেও হইহই করে জিতবেন বর্তমান প্রেসিডেন্টই- এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।  আর সেখানেই আপত্তি ৩৫ বছরের রুশ তরুণী কিসিনিয়া সবচাকের। পুতিনকে হারিয়ে এবার তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে চান। দেশের শীর্ষ পদে  লড়ার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁর রয়েছে বলে সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার এক রুশ টিভি চ্যানেলকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে কিসিনিয়া জানান,  ‘পুতিনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ রাজনীতিতে একই মুখ বার বার দেখতে দেখতে ক্লান্ত আমি।’ কিসিনিয়ার মা,  লুডমিলা নারুসোভা রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের একজন সদস্য।

সাক্ষাৎকারে কিসিনিয়া জানিয়েছেন,  পুতিনের রাজত্ব শেষ করার জন্য প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসার কথা ভেবেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘১৮ বছর বয়সে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি,  সে বার পুতিন প্রেসিডেন্ট হলেন। সে বছর যারা জন্মেছিল,  তারা এবার ভোট দেবে। ভেবে দেখুন এক বার।’  যদিও প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত এখন নিলেও ২০১২ থেকেই সক্রিয় ভাবে পুতিন সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন কিসিনিয়া।

কিসিনিয়ার দাবি,  বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির সমর্থন রয়েছে তাঁর পেছনে। নাভালনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন আরেক বিরোধী নেতা ক্রেমলিন। এবার তাই ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য ক্রেমলিনের সাজানো বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নাভালনি। তিনি আবার কিসিনিয়াকে সমর্থনের কথাও অস্বীকার করেছেন। বরং তাঁর মতো বিরোধীদের আশঙ্কা, কিসিনিয়াকে সামনে দাঁড় করিয়ে কিছু বিরোধী ভোট কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুতিনের। সে ক্ষেত্রে আরও একবার ক্রেমলিনে ‘রাজত্ব’ করা আরও সহজ হবে তাঁর। বিরোধীদের মত,  স্বচ্ছ ভোট পদ্ধতি দেখিয়ে আদতে নিজের রাস্তা সুগম করার কথাই ভাবছেন পুতিন।

রাজনীতির পরিবেশেই বেড়ে ওঠা রাশিয়ার মেয়ে কিসিনিয়ার। তার বাবা সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রাক্তন মেয়র আনাতলি। এই আনাতলির হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনিই নব্বই দশকের গোড়ায় সিটি হলে এক আধিকারিক হিসেবে পুতিনকে এনেছিলেন। তার পর আর সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরেননি পুতিন।  ২০০০ সালে মারা যান আনাতলি।

একটি রিয়্যালিটি টিভি শো উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন কিসিনিয়া। নাম ‘ডম টু’। এমনিতে বিভিন্ন ‘পেজ থ্রি’ অনুষ্ঠানে তাঁর ছবি দেখতেই অভ্যস্ত রুশরা। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ‘ফলোয়ার’ পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশি। পুতিনকে হারিয়ে রুশ রাজনীতিতে কিসিনিয়া কী পরিবর্তন আনতে পারেন, তা জানতেই এখন আগ্রহী রাশিয়ার অধিকাংশ মানুষ।

ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এএইচ