আইসিটি এক্সপোর পর্দা নামছে আজ

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৪৮ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১১:০৫

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের হার্ডওয়্যার শিল্পকে রপ্তানিমুখী করতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তির আসর ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭’। ‘মেক ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে আয়োজিত প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। আজ প্রদর্শনীর শেষ দিন। রাত আটটা পর্যন্ত প্রদর্শনীতে প্রবেশ করা যাবে।

১৮ অক্টোবর সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদে পলক।

প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিন বহুল প্রতিক্ষিত পেপালের জুম সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ হয়।

এসময় তিনি বলেন, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণ অনেকটাই কঠিন ছিল। পেপালের জুম সেবার মাধ্যমে ১ কোটি ১৮ লাখ প্রবাসী ৪০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে দেশে অর্থ প্রেরণ করতে পারবেন। পাশাপাশি ফ্রি ল্যান্সারাও উপকৃত হবে।

জুমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসীরা ১ হাজার ডলারের নিচে অর্থ বাংলাদেশে প্রেরণ করলে তাদের খরচ ৪.৯৯ ডলার। তবে ১ হাজার ডলারের উপরে অর্থ প্রেরণ করলে কোন খরচ দিতে হবে না।

এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য তুলে ধরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকে বলেন, হার্ডওয়্যার খাতে সক্ষমতা বাড়াতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আমাদের বিশ্বাস ২০২১ সালের মধ্যেই হার্ডওয়্যার রপ্তানি করবে বাংলাদেশ।

প্রদর্শনীতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শতাধিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ  অংশ নেয়। এতে তথ্যপ্রযুক্তির নতুন সব পণ্য, সেবা, জীবনশৈলী ও ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে। নানা ছাড় ও উপহারে বিক্রি হচ্ছে প্রযুক্তিপণ্য।

প্রদর্শনীতে প্রযু্ক্তিপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য ও সেবার ধারণা নিতে হাজির হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

প্রদর্শনীর গোল্ড স্পন্সর প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এইচপি, টিপিলিংক। সিলভার স্পন্সর হিসেবে আছে ডাহুয়া টেকনোলজি, সামিট টেকনোপলিস লি. এবং ওয়ালটন।

মেক ইন বাংলাদেশ স্লোগানে শুরু হওয়া প্রর্দশনীর উদ্দেশ্য উল্লে খ করে আইসিটি এক্সপো ২০১৭ এর  আহ্বায়ক ও বিসিএস মহাসচিব  ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল তার অনেকটাই সফল হয়েছে। দেশীয় উদ্ভাবন ও বিভিন্ন হার্ডওয়্যার নিয়ে তরুণদের ধারণা দিতে চেয়েছি আমরা।

প্রদর্শনীতে প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট কাটতে হবে না। ভেন্যুতে এসে নিবন্ধন করে প্রবেশ করা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এজেড)