আ.লীগের প্রস্তাব ভোটের ফল পাল্টানোর কৌশল: রিজভী
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ যে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আওয়ামী লীগের প্রস্তাবনায় ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার কৌশল আছে বলে মনে করছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
গত বুধবার ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে ১১ দফা প্রস্তাবনা দেয় আওয়ামী লীগ। তাদের প্রস্তাবনায় জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন হয়নি বলে বিএনপি নেতারা দাবি করেন।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ভয় ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে এমনটা দাবি করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ যে ১১ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে, তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়। কীভাবে নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া যায় সেই কৌশল আছে ওই সব প্রস্তাবনায়, যা সম্পূর্ণরূপে জনমতের বিপরীত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সবাই চায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সেনাবাহিনী মোতায়েন। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় সেনাবাহিনী ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকুক, সেই কারণে তারা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে চায় না।’
রিজভী বলেন, বিগত আওয়ামী শাসনামলে অনেক দলীয় ক্যাডারের লাইসেন্স ও বিনা লাইসেন্সে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। এখন ভোট গ্রহণের দিন আওয়ামী লীগের অনুকূলে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যালট বাক্স ভর্তি করতে সেই অস্ত্রগুলোই ব্যবহার হবে। সুতরাং সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দিলে ভোট-সন্ত্রাস রোধ করা যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে প্রধান বাধা মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশন যেন আওয়ামী লীগের আয়ত্ত্বশাসনের মধ্যে বন্দি না হয়ে সাংবিধানিক স্বায়ত্ত্বশাসন প্রয়োগ করে সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করেন সেই দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ তালুকদার, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল্লাহ হাবিব, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এমআর