স্ত্রীর পরকীয়ায় স্বামীর মৃত্যু, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৪০ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৪৪

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১২নং তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ারের নামে হত্যা প্ররোচনা মামলা হয়েছে। এখন তিনি পলাতক রয়েছেন।

প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে সাইদ আনোয়ার উধাও হওয়ার পর গ্রাম্য শালিসে চেয়ারম্যানের লোকজন ওই গৃহবধূর স্বামী আবুল হোসেনকে চাপ দেন।  এতে তিনি শালিসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি মারা যান। এমন অভিযোগ নিহত আবুল হোসেনের পরিবারের।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহত আবুল হোসেনের ভাই তোফাজ্জল মোল্লা টাঙ্গাইল মডেল থানায় এই হত্যা মামলা করেন। মামলায় চেয়ারম্যানকে হত্যার প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ আরো আসামি করা হয়েছে- চেয়ারম্যানের প্রেমিক রোজিনা বেগম, হবিবুর রহমান হবি, ফরহাদ মোল্লা, ওয়াজ উদ্দিনসহ ৭-৮ জনকে।

মামলার বাদী তোফাজ্জল মোল্লা অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ১২নং তরফপুর ইউনিয়ন পরিযদের চেয়ারম্যান সাইদ আনোয়ারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। চেয়ারম্যান রোজিনা বেগমকে নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের আদি টাঙ্গাইলের নুর মসজিদের দক্ষিণ পাশে আবুল হাশেমের ভাড়া বাসায় থাকতে থাকেন। তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিক শালিসও হয়েছে। স্ত্রীর এমন অনৈতিক ঘটনা জানতে পেরে আবুল হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মার্কেট করার কথা বলে রোজিনা বেগম ওই বাসা থেকে সন্তানসহ চেয়ারম্যান মো. সাইদ আনোয়ারের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
এদিকে স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরে পেতে আবুল হোসেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আবুল হোসেনকে হুমকি দিয়ে মামলা করতে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠে।

গত ৮ অক্টোবর তরফপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এ নিয়ে এক শালিস বসে। শালিসের মাতুব্বররা ও চেয়ারম্যানের লোকজন মিলে গৃহবধূর স্বামী আবুল হোসেনকে মামলা না করতে শারীরিক ও মানসিক চাপ দিলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে আবুল হোসেন মারা যান।

টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর আগে রোজিনা বেগমের স্বামী আবুল হোসেন একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। সেই সুত্র ধরে তার ভাই তোফাজ্জল মোল্লা বাদী হয়ে গত ১৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান সাইদ আনোয়ারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা প্ররোচনা মামলা করেন। আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদ আনোয়ার বলেন, আমি হত্যার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে পরিকল্পিতভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)