এমপির মুক্তিযোদ্ধা হওয়া নিয়ে বিতণ্ডা, মন্ত্রীর অনুষ্ঠান পণ্ড

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:১৭ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২০

নীলফামারী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নীলফামারী-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা হওয়া নিয়ে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে। তবে মন্ত্রী অনুষ্ঠানে জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যানকে কেন অতিথি করা হয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে নীলফামারীর জলঢাকায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রকাশ্য জনসভায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু। সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাঁচজন সাক্ষী হাজির করতে পারলে তিনি দলীয় পদ ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকারও করেন। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনছার আলী মিন্টু বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইকালে সংসদ সদস্য কোনো ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি হিসেবে এমপিকে তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেন। কিন্তু তারপরও কীভাবে এমপি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন এ ব্যাপারে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এ সময় সভায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমকে ঘিরে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে মন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। তবে যাওয়ার আগে তিনি সভায় জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী’র উপস্থিতি এবং অনুষ্ঠানে কেন তাকে বক্তৃতা দিতে দেয়া হলো এটাকে দায়ী করে হল ত্যাগ করেন।

এ সময় মন্ত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধানকে দুই দিনের মধ্যে বদলির চ্যালেঞ্জ করেন। তবে এ ব্যাপারে নীলফামারী-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)