কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ

রংপুর ব্যুরোপ্রধান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:২১

রংপুর কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ অনুষ্ঠান পালন, অনুষ্ঠানের নামে আগাম দশ লাখ টাকা ব্যয় এবং টাকার হিসাব চেয়ে আন্দোলনে নেমেছে প্রগতিশীল সব ছাত্র সংগঠন। এর সাথে যোগ দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। এই দাবিতে তারা রবিবার কলেজটির অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মিয়াকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে অধ্যক্ষ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে নিজেই আন্দোলনরত ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে এসে আগামী ১ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠান করার ঘোষণা দেন। পরে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের কারমাইকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাভেদ ইকবাল বলেন, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি গত বছরই শত বর্ষপূর্ণ করেছে। শতবর্ষ পালন উপলক্ষে গত সাত বছর থেকে ফরম পূরণের সময় চাঁদা আদায় করা ছাড়াও নতুন-পুরাতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিনশ থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও কলেজে সাবেক অনেক ছাত্র যারা এমপি-মন্ত্রী আছেন তারাও মোটা অঙ্কের টাকা অনুদান দিয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক বছর পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এবং আদায় হওয়া টাকা কিছু শিক্ষক নিজের কাজে ব্যবহার করেছেন। ফলে নানা অজুহাতে অনুষ্ঠান করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। তাই চলতি বছরই অনুষ্ঠানটি পালনের জন্য আমাদের এ আন্দোলন।

জাতীয় ছাত্র সমাজের কলেজ শাখা সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা কলেজে অনেক টাকা দিয়েছে। আমরা বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছে শুনছি ওই টাকা তছনছ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষক ওই তাদের ব্যক্তিগত কাজে লাগাচ্ছেন। এমনটি এক শিক্ষক ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছেন তা এখনো ফেরত দেননি।

কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মিয়া নিজেই অনুষ্ঠানটি হবে এমন ঘোষণা দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ প্রত্যাহার করে নেয়।

কলেজটির অধ্যক্ষ মো. আব্দুল লতিফ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, তাদের দাবির সাথে আমি একমত। কারণ অনেক থেকেই এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না। তিনি বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ হুসেনে আরা বাবু গত বছরের ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু তিনি পারেননি। পরে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি অধ্যক্ষ হিসেবে। অনুষ্ঠানের সব ফাইলপত্র আমরা হাতে নিয়েছি এবং অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছি। আগামীকাল সোমবার এ নিয়ে স্টাফ কাউন্সিলে বৈঠক করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/আরআই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :