স্ত্রীর যৌতুকের মামলায় নৌ-কর্মকর্তার বিচার শুরু
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় স্বামী নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর আলম খানের বিচার শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজম ওই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আগামী ১৫ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
ওই সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামি তানভীর নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণের এ দিন ঠিক করেন।
পেশায় চিকিৎসক তানভীরের স্ত্রী গত জুনে স্বামীর বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল তানভীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং তার বাবা, মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। পরে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তানভীর।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ফ্ল্যাট ও গাড়ি তানভীরের নামে লিখে দিতে এবং ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দিতে নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। যৌতুক ও বাড়ি-গাড়ি লিখে না দেয়ায় গত বছরের ১৪ অক্টোবর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় তানভীর এবং তার মা-বাবা মারধর করলে বাদী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন বলে মামলায় বলা হয়। পরদিন তিনি তার বাবা-মায়ের সাহায্য নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টেবরে একই কারণে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল বলেও জানান এই নারী। পরে উভয় পরিবারের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যস্থতায় আসামিরা ক্ষমা চেয়ে বাদিনীকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও ফল না হওয়ায় এই নারী আলাদা বাসায় উঠেছিলেন। তানভীর সেখানে গিয়ে গত বছরের ২৫ জুন ফের যৌতুকের দাবিতে মারধর করেন। এরপর এই নারী নারী ও শিশু নির্যাতন টাইব্যুনালে মামলা করলে তাকে ভিকটিম সাসোর্ট সেন্টারে পাঠিয়ে তদন্তের আদেশ দেন বিচারক। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় বিচারক মামলা আমলে নিয়ে তানভীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/আরজেড/জেবি)