সুনীলের জন্মভিটায় নেই স্মৃতি রক্ষার কোনো উদ্যোগ

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর থেকে
 | প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:১৫

দুই বাংলার প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী ২৩ অক্টোবর সোমবার। অথচ কবির জন্মভিটা মাদারীপুরের মাইজপাড়ায় নেই কোনো আয়োজন। তার স্মৃতি রক্ষার্থে তৈরি করা হয়েছিল ‘সুনীল আকাশ’ নামের সাহিত্য চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রে। এরও বেহাল দশা। বন্ধ হয়ে গেছে সুনীল সাহিত্য পুরস্কারও। নিভৃত পল্লীতে কবির স্মৃতি ধরে রাখার আহ্বান এলাকাবাসীর।

১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। দেশ ভাগের সময় চলে যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। জন্মভিটা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামে। নানা প্রতিকূলতার পরেও ২০০৩ সালে সস্ত্রীক নিয়ে আসেন জন্মমাটিতে। তৈরি করা হয়েছিল সুনীল আকাশ নামের একটি সাহিত্য চর্চা ও গবেষনা কেন্দ্র। শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী সুনীল মেলারও। তার নামে প্রবর্তন করা হয়েছির সুনীল সাহিত্য পুরস্কার। বর্তমানে সবই বন্ধ। ২০১০ সালের পরে আর প্রদান করা হয়ান সুনীল সাহিত্য পুরস্কার। উঠতি বয়সীরাও জানে না সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম মাইজপাড়ায়। জন্ম মৃত্যুর তারিখের খোঁজটুকু জানা নেই এই এলাকার সাহিত্যিকদের। এরই মাঝে হারিয়ে যেতে বসছে কবির স্মৃতিটুকুও যেন।

তরুণ কবি সাহিত্যিক রিপনচন্দ্র মল্লিক বলেন, আবার পুনরায় কেন্দ্রটি চালু করে নতুন প্রজন্মের মাঝে সুনীলকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তার সাহিত্য সৃষ্টিকর্মকে আরও উজ্জীবিত করতে পারে তরুণ প্রজন্ম। তাই সুনীল আকাশ ও তার নামে প্রবর্তিত সুনীল সাহিত্য পুরস্কার পুনরায় চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

কবির মৃতুর পর বন্ধ হয়ে যায় ‘সুনীল আকাশ’ এর প্রায় সব কার্যক্রম। জরাজীর্ণ অবস্থায় স্থাপনা। কবির পঞ্চম মৃতুবার্ষিকীর তারিখও জানা নেই এলাকাবাসীর। তাদের আক্ষেপ, সরকারি ব্যবস্থায় কবির জন্মভিটায় উদ্যোগ নিলেই আগামীতে জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

বাংলাভাষী এই সাহিত্যিক একাধারে কবি, উপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। তাই কবির স্মৃতি ধরে রাখার প্রচেষ্টা করবেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহমেদ।

কবির স্মৃতি ধরে রাখতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগের দাবি মাদারীপুরে সাংস্কৃতিমনাদের। সেই সাথে কবির সাহিত্যচর্চা কেন্দ্রের যথাযথ সংস্কারের দাবি সবার।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :