নিষেধাজ্ঞা শেষেও বাজারে মা ইলিশ

তন্ময় তপু, বরিশাল প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:১০

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বরিশালের সর্ববৃহৎ ইলিশ মোকাম পোর্ট রোড। মা ইলিশ নিধন রোধে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হলেও এখনো বেশিরভাগ আড়তদারের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে ডিমওয়ালা ইলিশ। মা ইলিশের পাশাপাশি ছোট আকারের ইলিশও রয়েছে। যে পরিমাণ মা ইলিশ দেখা যাচ্ছে, তাতে প্রজনন নিশ্চিত করা নিয়ে আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

রবিবার রাত থেকেই বরিশালের নদীতে ইলিশ ধরা শুরু করেন জেলেরা। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় এখন জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ঘাটেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম অনেক।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন রবিবার রাতে বরিশালে অবৈধভাবে ইলিশ শিকারের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশ। অভিযানে ৪৫জন জেলেকে আটকের পাশাপাশি জব্দ করা হয় ৩ লাখ ১৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং দুই মণ ইলিশ।

প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার এক রাত পার হতে না হতেই বরিশাল বাজারে উঠেছে প্রচুর ইলিশ। বড় ইলিশের পাশাপাশি রয়েছে ছোট আকারের ইলিশও। এতে ইলিশের দাম অনেকটা কমে গেছে।

আড়তদাররা জানান, ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে আজ মাছের আমদানি প্রচুর। এখনও নদী-সাগরে প্রচুর মাছ রয়েছে। আমদানির এমন অবস্থা আগামী ৪/৫ দিন থাকবে বলে জানান তারা।

আড়তদাররা আরও জানান, দুপুর গড়াতেই প্রায় দুই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশ মাছ বাজারে চলে এসেছে। আমদানির পরিমাণ চার থেকে পাঁচ হাজার মণ ছাড়াবে বলে মন্তব্য তাদের। প্রচুর ইলিশের আমদানি হলেও বাজারে দেখা দিয়েছে বরফের স্বল্পতা। গত ২২ দিন সকল বরফ মিল বন্ধ থাকাই এই স্বল্পতার প্রধান কারল বলে জানা তারা।

আলিম হায়দার নামে পোর্ট রোডে ইলিশ কিনতে আসা এক ব্যবসায়ী জানান, যে মাছই কিনতে চাই সেই মাছেই ডিম রয়েছে। তাহলে এতদিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কি হয়েছে।

মাছের পেটে ডিম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুচরা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নাছিরও। তিনি জানান, কিছু মাছের পেটে এখনো ডিম আছে। নিষেধাজ্ঞার সময়টা আর একটু পিছিয়ে আনা হলে এমনটা হতো না। আর প্রথম দিনে বড় মাছের পাশাপাশি জাটকা ইলিশও রয়েছে পাইকার বাজারে।

বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ই নদীতে প্রচুর ইলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তাই প্রথম দিনেই প্রচুর ইলিশ পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধরে সংরক্ষণের যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।

বিমল চন্দ্র জানান, পুরো বাজারে সকাল থেকে কোনো লালচে ইলিশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাজার মনিটরিং করে সব মাছেই রুপালি আভা আর সাদার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ইলিশ লাল হয়ে গেলে বলা যেত এগুলো সংরক্ষিত মাছ।

এই মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, ‘ইলিশ মূলত একবারে শতভাগ ডিম ছাড়ে না। ছয়টি অমাবশ্যা-পূর্ণিমায় এরা ভাগ ভাগ করে ডিম ছাড়ে। আমরা মূলত মুখ্য একটি অমাবশ্যা-পূর্ণিমায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। আর এতে যে পরিমাণ ডিম ছেড়েছে ইলিশ তাতে চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। কিন্তু বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ থাকতে পারে তবে এর পরিমাণ নগন্য।

ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/টিটি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :