রোহিঙ্গা শিশুরা এখনো ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:১০ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:১৫

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
ফাইল ছবি

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা পরিবারের হাজার হাজার শিশু ও নারী প্রায় দুই মাস ধরে তাদের জীবনধারণের মৌলিক সেবাসমূহ থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সোমবার এক সম্মেলনে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে একথা বলা হয়েছে।

জরুরি তহবিল সহায়তার উদ্দেশ্যে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে সাহায্যদাতা সংস্থা, সরকারি কর্মকর্তা ও মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশু ও নারীদের ব্যাপারে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।

ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডোয়ার্ড বেইগবেডার সম্মেলনে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট প্রশমনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’

এডোয়ার্ড বেইগবেডার বলেন, যেসব সংস্থা ‘শরণার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করছে তা আমাদের ক্ষমতার তুলনায় বাড়ছে। আমরা আরও সম্পদ (সাহায্য) চাই এবং এখন তাদের জন্য আরও সাহায্য প্রয়োজন।’

বেইগবেডার বলেন, নতুন আগতসহ মিয়ানমারে পূর্বে সংগটিত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের দুস্থ জনগণ মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ মানুষের জন্য কক্সবাজারে মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। হিসাব অনুযায়ী, চার থেকে ১৮ বছর বয়সী সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষার প্রয়োজন। তাদের মধ্যে নতুন দুই লাখ ৭০ হাজার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রায় ১৭ হাজার শিশুর পুষ্টির চিকিৎসা প্রয়োজন এবং এক লাখ ২০ হাজার গর্ভবতী ও অসুস্থ মহিলার পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে বেইগবেডার বলেন, ‘বর্তমানে অপ্রতুল শৌচাগার ও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির কারণে কলেরা বা ডায়রিয়ার হাজারো মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।’

এডোয়ার্ড বেইগবেডার বলেন, পিতামাতা ও যারা এখানে সেবা দিচ্ছেন তারা বলেছেন, এখানে পিতামাতারা তাদের অসহায়ত্ব ও মনোজাগতিক কারণে ছেলেমেয়েদের প্রতি দৃষ্টি দিতে পারছেন না।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/জেবি)