কী আছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:৩৫

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

২০১৭ সালের সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যবসাসফল ছবি দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘ঢাকা অ্যাটাক’। বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার ছবি এটি।

গত ৬ অক্টোবর দেশব্যাপী মুক্তি পাওয়া ছবিটি ইতিমধ্যে দারুণ ব্যবসা করেছে। প্রথম ১৫ দিনে এর আয় ছয় কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। পুলিশের বড় কর্তা থেকে শুরু করে সংসদ সদস্যরাও হলে গেছেন ছবিটি দেখতে। করেছেন প্রশংসা।

কী আছে এই ছবিতে? মোটা দাগে বলা যায়, ঢাকায় একাধিক খুন ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভূমিকা চিত্রিত হয়েছে এ ছবিতে।

‘ঢাকা অ্যাটক’ ছবির কাহিনীতে দেখা যায়, একটি  রাসায়নিক কারখানা থেকে চুরি হয় কিছু কেমিক্যাল। সেখানে ঘটে যায় কিছু খুন।  পুলিশ জানায়, চুরি যাওয়া কেমিক্যাল তেমন দামি নয়। তবে এর পেছনে মোটিভ হিসেবে থাকতে পারে ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ভাটা পড়ে একই ধরনের আরেকটি খুনের পর।

এবার শুরু হয় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণ। একটি স্কুলে বিস্ফোরণে হতাহত  হয় কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থী। পুলিশ আরও সতর্ক হয়। বিস্ফোরণ থেকে উদ্ধার হওয়া কেমিক্যাল তদন্তের পর দেখা যায়, এটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের একটি বোমা বানানোর কৌশল, যা সম্প্রতি এক গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার নিয়াজ এই তদন্তের দায়িত্ব দেন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা সাজেদুল করিমকে। সাজেদুল বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞ। তিনি এই হামলা প্রতিহত করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবিদ রহমানের নেতৃত্বে নতুন দল গঠন করেন। আবিদ ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াটের কমান্ডার আশফাক হোসেনকেও এই দলে যোগ দেয়ার জন্য ডাকেন। আশফাকের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা।  স্ত্রীকে মিথ্যা বলে যোগ দেন তিনিও।

এদিকে পুলিশের বাইরে নিজ উদ্যোগে এই হামলার তদন্ত করেন সাংবাদিক চৈতি। তিনি একটি গাড়ি ডাকাতির সাথে জড়িত দুর্বৃত্তের রেসিংয়ের ভিডিও করতে গিয়ে সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পান। পুলিশের গতিবিধি অনুসরণ করে চট্টগ্রামে আরেক গাড়ি দুর্বৃত্ত রাসেলের মেজবান অনুষ্ঠানে চলে যান তিনি। সেখানে আবিদ  দেখে তাকে চিনতে পারায় তিনি পালিয়ে যান।  সেখানেই আরেকটি অপারেশনে পুলিশ আসামির স্থলে চৈতিকে খুঁজে পায়। চৈতির কাছ থেকেই তারা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারে।

চৈতির তদন্তে বেরিয়ে আসা আরেক দুর্বৃত্তের আস্তানায় হামলা চালিয়ে তাদের আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে নতুন তথ্য। যার কারণে এবার হামলা হয় চৈতির ওপর। আবিদ তা প্রতিহত করে। পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে এত সব হামলার পেছনে মূল হোতার ছবি। যে ঢাকা শহর ধ্বংসের মাধ্যমে মালয়েশিয়া আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রধান হতে চায়।

ছবিটিতে আবিদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। সাংবাদিক চৈতি চরিত্রে মাহিয়া মাহি। ছবির অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন আলমগীর, আফজাল হোসেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, কাজী নওশাবা আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, তাসকিন রহমান এবং এবিএম সুমন।

(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/এএইচ/মোআ)