আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক
শুল্ক ফাঁকির পাঁচ মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন তারা। বিকাল তিনটায় আসামিদের আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১২ আগস্ট চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও হীরা জব্দের ঘটনায় ওইসব মূল্যবান ধাতু কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার দায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিক ওই তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা ২ (ঠ) এবং কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৫৬ (৫) অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দা ওই মামলা দায়ের করা হয়।
এসব মামলায় আসামিরা গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন পান। এরপর তারা নিম্ন আদালতে জামিননামাও দাখিল করেন।
হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষে হলেও নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর তিনটি মামলায় তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এছাড়া আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী কাস্টম হাউস ঢাকায় আরও পাঁচটি কাস্টমস মামলা বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, বনানীর আলোচিত দ্য রেইন ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণীতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত ও তার সহযোগীরা। ওই ঘটনার পরই রাজধানীতে আপন জুয়েলাসের পাঁচটি শোরুম থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও হীরার অলঙ্কার জব্দ করা হয়। পরে এ সব অলঙ্কার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়।
ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/আরজে/এমআর