যশোরে গ্রেপ্তার জেএমবি নেতাকে রিমান্ডে চায় পুলিশ
যশোরে জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার নব্য জেএমবি নেতা মোজাফফর হোসেনকে ২৬ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আটক মোজাফফরকে যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল ইসলামের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক সপ্তাহের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এর আগে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে আটক নব্য জেএমএমবি নেতা মোজাফফর হোসেনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
যশোর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের গোপন তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ হেডকোয়াটারের বিশেষ টিম, বগুড়া ও যশোর জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ অঞ্চলের নব্য জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মোজাফফার হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদহ গ্রামের তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে- ৩০টি গ্রেনেড তৈরির ব্রেকার, ২৫ এক্সপ্লোসিভ জেল, পাঁচ লিটার এসিড, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন, চার রাউন্ড গুলি, বোমা তৈরির বেশ কিছু উপকরণসহ ধারালো অস্ত্র।
স্থানীয়রা বলছেন, মোজাফফারের বাড়িতে সাধারণ লোক যাতায়াত করত না। মোজাফফারের প্রতিবেশী রহমান হোসেন বলেন, দীর্ঘ দশ বছর ধরে আমরা তাকে দেখি। তাকে কোনো মানুষের সাথে মুখ কালো করে কথা বলতে দেখিনি। তিনি নিজের বাড়ি ছাড়া কারো জিনিসপত্র ধরেন না। মোজাফফার ভদ্রলোক। তাকে কেউ ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
প্রতিবেশী রহিমা খাতুন বলেন, আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে দীর্ঘদিন চলাচল করে। আমরা খারাপ কিছু কোনোদিন দেখিনি। আমাদের মনে হচ্ছে এগুলো ষড়যন্ত্র।
এর আগে সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর শহর থেকে সরকারি এমএম কলেজ পুরাতন ছাত্রাবাস মসজিদের ইমাম মোজাফফরকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী জঙ্গি আন্তানা সন্দেহে সদর উপজেলার পাগলাদহ গ্রামের তার বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)