পাবনায় রোপা আমনসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা থেকে
 | প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ২২:০৪

পাবনায় ঝড়ো বাতাস ও দুই দিনের বর্ষণে রোপা আমনসহ শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছ্।ে জেলার ৯টি উপজেলায় রোপা আমনসহ ৬,৭৬৫ হেক্টর জমির অন্যান্য ফসল ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ৪,৮৩৪ হেক্টর, ৬৫২ হেক্টর মাসকলাই, ৬৫ হেক্টর কন্দ পেঁয়াজ, ১২০ হেক্টর খেসারী, ১ হাজার ৯৪ হেক্টর শাক সব্জি ক্ষতি হয়েছে।

নি¤œ চাপের প্রভাবে গত শুক্রবার ও শনিবার দুদিনের ঝড়ো হাওয়া ও টানা বর্ষণে উঠতি ধান গাছ জমিতে ন্যুইয়ে পড়েছে। এছাড়া শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল বেশ ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে বেশ কিছু এলাকায় গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৪,৮৩৪ হেক্টর জমির ধান ন্যুইয়ে পড়েছে। এছাড়া শাক-সবজি, মাসকলাই, কন্দ পেঁয়াজ এবং খেসারীর ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। তবে সপ্তাহ খানেক পর বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রকৃত ফসল বিনষ্টের পরিসংখ্যা জানা যাবে। কার্তিক মাসের এমন ধরনের বৈরী আবহাওয়া ইতপূর্বে এতটা অনুভব হয়নি। গত আট বছর আগে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিন/চার দিন এ ধরনের

বৈরী আবহাওয়া হয়েছিল বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার সোমবার ইশ্বরদী উপজেলার বকচারপুর এলাকা মাঠ পরিদর্শন করেন। তখন এই প্রতিনিধিকে তিনি জানান, অসময়ের দুর্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলের কম-বেশী ক্ষতি হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ফসল কম হবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা আরও জানান, যেহেতু ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি থেমে গেছে; তাই প্রাথমিকভাবে ফসলের আক্রান্তের পরিমাণ জানা গেলেও শাকসবজি ব্যতিত অন্যান্য ফসলের ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি হবে না।

আটঘরিয়া উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, টানা দুুদিনের ঝড়ো বাতাস ও বর্ষণে বেগুন ক্ষেত , মাসকলাই, কন্দ পেঁয়াজ মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। নিচু জমির ধান ন্যুইয়ে পড়ে পানির সাথে মিশে যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জমির ধান পানিতে পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পাবনা সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি তিন বিঘা রোপা ধানের আবাদ করেছেন। তার প্রায় দুই বিঘা জমির ধান জলামগ্ন অবস্থায় আছে। উঁচু জমির ধান ন্যুইয়ে পড়লেও ক্ষতির পরিমাণ একটু কম হবে বলে কৃষকরা জানান। এমন ধরনের অবস্থা জেলার সব স্থানে।

(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :