ঝিনাইদহে বৃহস্পতিবার আধা বেলা হরতাল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:৪৬

ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে যশোর আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি।

এর আগে বুধবার যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের হাকিম নিতাই চন্দ্র সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় এ রায় দেন। এছাড়া ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার দুটি ধারায় মসিউর রহমানকে কারাদণ্ড, জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ (২) ধারায় তথ্য গোপনের অভিযোগে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২৭ (১) ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম জানান, বিএনপি নেতা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় চার্জ গঠনের পর যশোর আদালতে ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু আসামি পক্ষের নানা অপতৎপরতার কারণে মামলাটির বিচার কাজ দীর্ঘায়িত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সাবেক এমপি মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তির এ রায় দিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহিদুর রহমান জানান, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। মামলার রায়ে তারা সন্তুষ্ট।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা সাবেক সাংসদ মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এতে প্রায় ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে মো. মসিউর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। ২০০৯ সালের শেষ দিকে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নেন।

আমলযোগ্য মামলাটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রোসিডিং কোয়াসমেন্টের জন্য আবেদন করেন মশিউর রহমান। এর ফলে ২০১০ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করেন। চার বছর পর ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল উচ্চ আদালত আসামির মোকদ্দমা খারিজ করে স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতকে আইন অনুযায়ী মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।

এরপর আসামিপক্ষের একাধিকবার সময়ের আবেদন শেষে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। এ অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল করেন আসামি মশিউর রহমান। লিভ টু আপিলও খারিজ হয়ে গেলে তিনি আবার সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদন করেন। পরে রিভিউ আবেদন খারিজ হলে বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর যশোর স্পেশাল জজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জনাকীর্ণ আদালতে বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :