লক্ষ্মীপুরে তরুণীকে গণধর্ষণ: জড়িতদের গ্রেপ্তারে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোর্টের আথাকরা এলাকায় তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিকের ভাই এলজি নাছির উদ্দিনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী নাগমুদ বাজারে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারে ঘুরে ভোলাকোর্ট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় বক্তব্য দেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুর হোসেন, শ্রমিকলীগ নেতা মিন্টু ও মিল্লাদ হোসেন প্রমুখ।

এ সময় রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ভোলাকোর্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিকের ভাই নাছির উদ্দিনসহ অন্যরা এক তরুণীকে দুইদিন আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই নাছির উদ্দিনসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যানের শেল্টারের কারণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

এদিকে ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমদ মানিক জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোতা মিয়া জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ভাইসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর ওই যুবতীকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসে আনোয়ার হোসেন। ওইদিন রাতে অথাকরা এলাকায় আনোয়ার হোসেন তার ভাড়া বাসা নিয়ে আসে ওই যুবতীকে। পরে দুই দিন আটকিয়ে রেখে তাকে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিকের ভাই নাছির উদ্দিন এবং তার সহযোগী পারভেজ হোসেন মীমাংসার কথা বলে আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় ওই যুবতীকে আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই এলজি নাছির উদ্দিনসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)