শেরপুর জেলা পরিষদ সদস্যকে শারীরিক নির্যাতনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৮

শেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া বিশুকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের চাপাতলি এলাকায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে হামলার শিকার বিশুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান।

এর আগে ২৪ অক্টোবর দুপুরে শহরের পৌর টাউন হলে হুমায়ুন কবির রুমানের বিরুদ্ধে ওই হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন জাকারিয়া বিশু।

জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান সাব্বির আহম্মেদ খোকন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হুমায়ুন কবির রুমানের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রয়াসমাত্র। এছাড়া রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরেও এসব অভিযোগে করা হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, বিশুর উপর হামলা হয়েছে জেলা পরিষদের বাইরে এবং তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে শহরের নবীনগর মোড়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজির নানা অভিযোগের জের ধরে। প্রকৃত অর্থে বিশু একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমান, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সাব্বির আহাম্মেদ খোকন, প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আবু তাহের, প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ ফারহানা পারভীন মুন্নি, সদস্য কফিলউদ্দিন, বিল্লাল হোসেন চৌধুরী, খন্দকার আরিফ আহাম্মেদ, আয়শা সিদ্দিকা রুপালী, নহেলিকা দ্রিবাসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে হুমায়ুন কবির রুমানকে হত্যা মামলার আসামি উল্লেখ করে তার নির্যাতনের মাত্রা এরশাদ শিকদারকেও ছাড়িয়েছে বলে দাবি করেন জাকারিয়া বিশু। তিনি বলেন, শেরপুরে মজিবর তালুকদার হত্যা এবং শহরের বাগরাকশা এলাকার সুমন হত্যা প্রভাব খাটিয়ে ও টাকা-পয়সা দিয়ে রাতারাতি ধামাচাপা দিয়েছে রুমান। তিনি ওইসব ঘটনার নায়ক। তার নির্যাতনের মাত্রা এরশাদ শিকদারের চেয়ে কম না। শেরপুরের সব টেন্ডার তার নিয়ন্ত্রণে। পৌরসভার মেয়র থাকাকালে এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার পরও টেন্ডারবাজি অব্যাহত রেখেছেন। হয়েছেন প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক, গড়েছেন অট্টালিকা। টেন্ডারের বিষয়ে তার সাথে সহমত না হওয়ায় হুমকিও দেয়া হয়েছে।

রুমানের কাছে বৈধ অস্ত্র আছে জানিয়ে জাকারিয়া বলেন, সরকার তাকে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দিলেও ওইসব অস্ত্র দিয়ে সে আমাদের ভয় দেখায়। আমি জনপ্রতিনিধি ও সক্ষম সুস্থ মানুষ কারো প্ররোচনায় আমি এমন অভিযোগ করিনি। আমাকে জেলা পরিষদের এসও সাহেবের রুমে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তদন্তে সব বের হয়ে আসবে।

রুমানসহ আরো ছয়জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে মামলার করার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে একটি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলার সময় হুমায়ুন কবির রুমান নিজে দোতালায় তার অফিস থেকে নেমে এসে ডান হাতে তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দেখিয়ে বা হাত দিয়ে দিয়ে জাকারিয়া বিশুর মাথায় ঘুষি মারেন। এ সময় তার সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা তার পিঠের উপর কলম দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শরীর ছিদ্র করে জখম করার অভিযোগ তুলেন জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য জাকারিয়া বিশু।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :