বাগেরহাটে খুনের দায়ে যুবকের ফাঁসি

বাগেরহাটে আব্দুল খালেক শেখ নামে শারীরিক প্রতিবন্ধীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালত একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের হাকিম মো. জাকারিয়া হোসেন এই রায় দেন। এসময় আসামি জাহিদ শেখ আদালতে হাজির ছিলেন।

নিহত আব্দুল খালেক শেখ রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামের প্রয়াত আহম্মদ আলী শেখের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদ শেখ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামের মোকাম্মেল শেখের ছেলে। তিনি নিহত আব্দুল খালেক শেখের সম্পর্কে সৎ নাতনি। (আসামি সৎ ছেলের ছেলে।)

মামলার নথির বরাত দিয়ে বাগেরহাট জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলী সীতা রাণী দেবনাথ বলেন, রামপাল উপজেলার দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামের নিহত আব্দুল খালেক শেখ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারিভাবে তিনি প্রতিমাসে ভাতা পেতেন। এই ভাতার টাকা তার সৎ নাতনি জাহিদ শেখকে প্রায়ই দিতে হতো। এই ভাতার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায়ই জাহিদ তাকে মারধর করত এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দিত। ভাতার টাকা না দেয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে জাহিদ ক্ষুব্দ হয়ে ২০১৪ সালে ৩১ মে সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে বসে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল খালেককে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে মো. আলী আকবর শেখ বাদী হয়ে জাহিদ শেখকে আসামি করে রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর তিনদিন পর পুলিশ ঢাকা থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। পরে জাহিদ তার দাদাকে হত্যার কথা স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

রামপাল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. ইমারত আলী ওই বছরের ২০ আগস্ট জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)