অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ইমনকে হত্যা!
অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় যশোর জেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি শহরের বেজপাড়ার গোলগোল্লার মোড়ের আজিমাবাদ কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। রাজনীতির হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকেই তিনি মাদক বেচাকেনা ও সেবনকারীদের বিপক্ষে ছিলেন। একই সাথে চাঁদাবাজি ও বখাটেদের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলেন। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে খুন করতে পারে বলে পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নিহতের পিতা আনোয়ার হোসেন জানান, গোলগোল্লার মোড়ের সালাম ফার্নিচারের সামনে বসে বন্ধুদের সাথে লুডু খেলা দেখছিলেন ইমন। রাত ১১টার পরপরই কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে ইমনের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। হাসপাতালে আনা হলে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তারা তিনটি গুলির শব্দ পেয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক হাসানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে দুইটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। আর রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হত্যার ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আজমল হুদা।
খুনিদের কেউ আটক হয়নি বলেও তিনি জানান। তবে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে এবং কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেটা জানার চেষ্টা করছে।
তবে এলাকাবাসী জানায়, বেজপাড়া গোলগোল্লা ও আজিমাবাদ কলোনি মাদকপ্রবণ এলাকা। রাজনীতির হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকেই তিনি মাদক বেচাকেনা ও সেবনকারীদের বিপক্ষে ছিলেন। বিভিন্ন এনজিও ও শান্তিশৃঙ্খলা কমিটির ব্যানারে ইমনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় একাধিকবার মাদকবিরোধী সমাবেশ হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় মাদকবিক্রেতাদের সাথে তার বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জের ধরে মাদকের সাথে জড়িতরা নিজে বা ভাড়াটে খুনি দিয়ে ইমনকে হত্যা করেছে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, মনোয়ার হোসেন ইমন তার কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। আনোয়ার হোসেন বিপুল স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়ী করে বলেন, মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীরা এই দুই নেতার ছত্রছায়ায় থাকত।
এদিকে খুনিদের আটকের দাবিতে স্থানীয়রা শহরের দড়াটানা থেকে মিছিল বের করে। পরে তা তালতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে দড়াটানায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, বর্তমান সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সাধারণ সম্পাদক সালসাবিল জিসান প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)