মানিকগঞ্জে অভিযোগের প্রতিবাদে আ.লীগের মিছিল

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৩৩

মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এবং তার ফুপাতো ভাই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেনকে জড়িয়ে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু ও জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকারকে গ্রেপ্তারসহ দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম আপেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সুদেব সাহা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লিয়াকত ভান্ডারী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠনের নামে পরিবহন সেক্টর থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। সম্প্রতি সাধারণ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের চাঁদাবাজি প্রশাসন বন্ধ করে দিলে বাবুল সরকার ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপু জেলা প্রশাসনের কাছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের ফুপাতো ভাই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের নাম জড়িয়ে মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দেন।

সমাবেশে বক্তাদের দাবি এমন মিথ্যা অভিযোগ দেয়ায় মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনসহ দলীয় নেতাদের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় অবিলম্বে কাজী এনায়েত হোসেন টিপু ও বাবুল সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারসহ তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

সমাবেশ শেষে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নেতাকর্মীরা একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জেলা প্রশাসক নাজমুছ সাদাত সেলিমের কাছে তাদের দুর্নীতির স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু বলেন, এক শ্রেণির সুবিধাবাদী মানুষ অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে আমার পেছনে লেগেছে। তিনি বলেন, তারা আমার আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে- তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকারের সাথে কথা বলতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি।

(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :