মানিকগঞ্জে কাজী টিপু ও বাবুল সরকারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে সুপারিশ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৩২

মানিকগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস, অটোটেম্পো ওনার্স গ্রুপের ‘সভাপতি’ কাজী এনায়েত হোসেন ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল সরকারকে পরিবহন খাতের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে দুইজন সাংসদসহ জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ করেছেন।

সোমবার লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে তারা এই সুপারিশ করেন।

মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নীনা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাজী এনায়েত হোসেনের স্ত্রী কাজী লুৎফুন নাহার, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সত্য সাহা, সাধারণ সম্পাদক তামজিদ উল্লাহ প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবুল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করেন।

সুপারিশপত্র বলা হয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন এবং মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস-অটোটেম্পো ওনার্স গ্রুপের কার্যালয় দখল করেন। বহিরাগত লোকজন নিয়ে তারা মানিকগঞ্জ বাস টার্মিনাল দখল করে পরিবহন খাতের নির্বাচিত নেতাদের ভয়-ভীতির মাধ্যমে তাড়িয়ে দিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন।

সুপারিশপত্রের উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের সময় কাজী এনায়েত হোসেন ও বাবুল সরকারের নেতৃত্বে খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার চলাচলকারী যানবাহন ফেরি পারাপারসহ মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে সুষ্ঠুভাবে চলাচলে সহযোগিতা করেন। তাদের এই অবদানকে অস্বীকার করে দখলদার ইসরাফিল হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম প্রকৃতপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন।

রবিবার মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই সমাবেশে ইসরাফিল বলেন, বাবুল সরকার ও কাজী এনায়েত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছেন। এতে সাধারণ বাস মালিকেরা আর্থিকভাবে লোকসান গুণছেন। এই চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দিলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস-অটোটেম্পো ওনার্স গ্রুপের তিনিই বৈধ সভাপতি। পরিবহনসংশ্লিষ্ট ভুয়া কমিটি করে কাজী এনায়েত হোসেন ও বাবুল সরকার দীর্ঘদিন ধরে পরিবহনে সেক্টরে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের (এনায়েত হোসেন ও বাবুল সরকার) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হলে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়। এ কারণে তারা বিভিন্ন দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম বলেন, স্থানীয় দুই সাংসদসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের স্বাক্ষরিত সুপারিশপত্র তিনি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে সুষ্ঠু সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :