সাতই মার্চের ভাষণে লোকউপাদান

বিলু কবীর
| আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৪ | প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫১

সাতই মার্চ, ১৯৭১। রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান, আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা কেবল তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণই নয়; শুধুই বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ও সংগ্রামী ইতিহাসেরই সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ নয়; পৃথিবীর ইতিহাস থেকে নেতা, শাসক, সমাজ সংস্কারক, সেবক, উদ্যোক্তা, মানবতার দিশারি, প-িত, সংগ্রামী প্রভৃতির সেরা সেরা স্বল্পসংখ্যক ভাষণ বাছাই করলে তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পরিগণিত হতে বাধ্য। তাই এই ভাষণ বাঙালি জাতির জন্য তো অবশ্যই, পৃথিবীর মুক্তির সংগ্রামের সমগ্র ইতিহাসে একটি মূল্যবান সম্পদ এবং প্রেরণার উৎস।

৭ মার্চের আগের এবং তার পরের ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত সময়ের ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবহুল এবং রক্তক্ষয়ী। ২৫ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সে মহান মুক্তিযুদ্ধকাল, তা আরও বেশি গুরুত্বসমৃদ্ধ, ঘটনাবহুল এবং পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বিপুল রক্তক্ষয়ী। এই দুটি চূড়ান্ত সময়পর্বে বঙ্গবন্ধু যদি হত্যার শিকার হন অথবা বন্দি হন তাহলে কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে কি করতে হবে তার সব দিকের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল এই বজ্রকণ্ঠী ভাষণে এবং ১১০৭টি শব্দ সংবলিত ১৯ মিনিটের এই গণমুখী অভিভাষণেরও আর একটি চূড়ান্ত পঙ্ক্তি ছিল যার উচ্চারণের মাধ্যমে ভাষণটি শেষ হয়। যে বাক্যের পর ‘জয় বাংলা’ ছাড়া আর কিছুই বলার ছিল না সংগত কারণেই। সেই বাক্যটি ছিল ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ অতএব বলাই বাহুল্য, কেন বাঙালি জাতির জন্য, কেন পৃথিবীর যেকোনো সংগ্রামী জাতির জন্য এই ভাষণ এক তেজী প্রার্থনাযুক্ত প্রেরণার উৎস।

এই ভাষণের প্রতি আপামর জনসাধারণ আন্তরিকভাবে আকৃষ্ট হয়েছিল এর সময়োপযোগিতার কারণে, এর যথার্থতার কারণে, নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ আনুগত্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে। এই ভাষণকে পুরোমাত্রায় বুঝিয়ে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর এবং বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে বাঙালি জাতির ও অপরাপর বসতি নৃগোষ্ঠীর বুঝে ওঠার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল ভাষণটির কাব্যভঙ্গিতে, এর পঙ্ক্তিতে, এর বাচনভঙ্গিতে, এর ইশারাভাষায়, স্বরাঘাতে জাদুকরি লোকভঙ্গি। এতে বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করার মতো, ভাষণটির বাক্য গঠন ছিল পুরোমাত্রায় কাব্যিক, এর আবৃত্তি কণ্ঠভঙ্গি ছিল দৃঢ়-ধনুর্ভঙ্গ-সংবেদনশীল-মৃদু এবং বজ্রনিনাদি। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তির সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কিন্তু তার বাক্যচয়ন এমন সাবধানী এবং কূটনৈতিক কৌশলে সমৃদ্ধ যে, এসবের পরেও পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলা যাচ্ছিল না। এই ভাষণে প্রতিপক্ষের প্রতি রাগান্বিত নিরাপোস মনোভাব ও সংযত ক্রোধ ব্যক্ত হয়েছে। একাধারে তাদের প্রতি মানবিক সদাচারের দায়িত্বও উচ্চারিত হয়েছে। পৃথিবীর রাজনীতির ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা যে, এই ভাষণদানের পর প্রকৃত প্রস্তাবে বঙ্গবন্ধু রাজপথে ছিলেন, কিন্তু পুরো দেশ চলছিল তার নির্দেশানুয়ায়ী। সরকারি-বেসরকারি অফিস, রেডিও, টেলিভিশন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, প্রিন্টিং মিডিয়া, ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন, ঘাট, বিমানবন্দর সবকিছু তিনি যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছিলেন, সেভাবে চলছিল! এমনকি তাঁর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ, সহানুভূতি, সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশনাও ছিল বিস্মকরভাবে সবার কাছে পালনীয়। একেবারে রাজপথের জননেতার অঙুলি হেলনে সারা দেশের ওঠাবসা বলতে যা বোঝায়, সেই রূপকথার এক আশ্চর্য বাস্তবতা তখন দেশ ও পৃথিবী দেখেছিল। তাঁর ভাষণের প্রতিটি দুঃখ, বেদনা প্রকাশ, হুংকার, মৃদুকথন, নির্দেশনা, অনুরোধ, হুঁশিয়ারি, স্বরাঘাত, অঙুলি হেলন, নিশ্চয়তা উচ্চারণ এবং অনিশ্চয়তাকে অগ্রাহ্য করার প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথিবীর বুকে একটি নতুন প্রজাতন্ত্রের অভ্যুদয়বার্তা খুব সুস্পষ্টভাবে ধ্বনিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বলার কৌশলে এমন কূটনৈতিক দক্ষতা ছিল যে, তখন পর্যন্তও তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। চূড়ান্ত প্রস্তুতির সময় তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ছিল প্রশ্নাতীত অবিসংবাদিত নেতাসুলভ। অতএব ২৪ বছর ধরে তিলেতিলে গড়ে ওঠা বাঙালি এই ভাষণের মাধ্যমে পেল সুকঠিন জমাটরূপ। বাঙালি ও অন্যান্য নৃগোষ্ঠী এবং ধর্মনির্ভেদে দেশের মানবসমগ্র একাট্টা হয়ে উঠল এবং ওই ভাষণই জাতির সামনে একটি আবশ্যিক গন্তব্যকে নির্মাণ ও স্থির করে দিল। পরে যখন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৯ মাসের পথচলা, তখন তাঁর ভাষণের নির্দেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছে এবং তা অগ্নিমন্ত্রের মতো বাঙালিকে সাহস যুগিয়েছে। তারা অকুতোভয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুকে ডেকেছে জীবনের দিকে। সবকিছুর পেছনে কাজ করেছে একটি কাব্যমন্ত্র। আর সেটি হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অভিভাষণ। আমাদের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনে এবং কূটনৈতিক আনুকূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রেও এই ভাষণ প্রভাবক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এমনই মুগ্ধকর ছিল সেই ভাষণের আবৃত্তি এবং কাব্যভাষা যে, আন্তর্জাতিক পত্রিকা ‘নিউজউইক’ ৫ এপ্রিলের সংখ্যায় প্রচ্ছদপত্রে তাঁকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে উল্লেখ করে।

৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর মধ্যে পাওয়া যায় ন্যায় ও ঔচিত্যবোধে সুকঠিন দৃঢ় মনোভাব। তেমনি পাওয়া যায় অভিভাবক নেতার এক কোমল মাতৃহৃদয়কেও। একই ভাষণে তিনি বলেন যে বাঙালি, অবাঙালি, কারো নিরাপত্তার অভাব হবে না। তিনি বলেছেন যে, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। মানে তাঁর অন্তরের কঠিন ও কোমল দুটোই সেদিন রাজনৈতিক ভাষায় জ্বলে উঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো।’ আবার একই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে এই মানবিক আশ্বাসও দিয়েছেন যে, ‘তোমরা আমার ভাই তোমরা ব্যারাকে থাকো। কেউ তোমাদের কিছুই বলবে না।’ স্বাধীনতার চূড়ান্ত সংগ্রামের যখন আর কোনো বিকল্পকে অবশিষ্ট রাখা হয়নি, হরতাল বা বনধের ডাক যেমন দেন, তেমনি তার জন্য যাতে দরিদ্র, শ্রমিক ও খেটেখাওয়া মানুষদের কষ্ট না হয়, সেজন্য কর্তব্য বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি ছিল যুগপৎভাবে যথেষ্ট বিস্তারিত এবং সংক্ষিপ্ত। বিস্তারিত বা বড় এই অর্থে যে, এতে স্থান-কাল-পাত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব কথা ছিল। আর সংক্ষিপ্ত বা ছোট এই অর্থে যে, এতে কোনো অপ্রয়োজনীয় বাহুল্য বচন ছিল না। সবমিলিয়ে ৭ মার্চের ভাষণ দেশবাসীকে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শোনার জন্য উদগ্রীব করে দিয়েছিল। আর যে অন্তর্নিহিত কারণে এই ভাষণটি প্রিয় এবং পালনীয় হয়ে উঠেছিল তা হলো, গণমানুষের বোঝার ক্ষেত্রে এতে সূচাগ্র পরিমাণেও অস্পষ্টতা ছিল না। এর কারণ হচ্ছে ভাষণটির নানা ক্ষেত্রে বিদ্যমান অজস্র লোকউপাদান। তা সে বাকভঙ্গিই হোক, অঙ্গভঙ্গিই হোক, শব্দবয়ন, স্বরাঘাত, কণ্ঠশীলনের নৈপুণ্য, হুংকার সহানুভূতি যা-ই হোক না কেন।

২.

বাঙালির লোকঅভ্যাস এবং পুরনো বৈশিষ্ট্য হলো সে যতই ব্যাকরণসম্মত চলিত ভাষায় বলুক না কেন, যখন সে ঘোর যন্ত্রণায় পড়ে, আবেগ তাড়িত হয়, যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়ে বঞ্চনায় ব্যথাতুর হয়, ক্ষোভে ফেটে পড়ে তখন সে অন্তরের অনিয়ন্ত্রণযোগ্য অনু-প্রাণনায় নিজের আসল ও আদি ভাষায় কথা বলে। সন্তান যত বড়ই হোক মায়ের কাছে সে যেমন অবোধ শিশু হয়ে ওঠে, এও ঠিক তেমনই, সে তার অকৃত্রিম, গয়নাবিহীন কলোকাল ল্যাঙ্গুয়েজের কাছে ফিরে যায়। তার ভেতরের বুলি ফুটে ওঠে। যা বলার জন্য কোনো প্রাণশক্তি ক্ষয় করতে হয় না। সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমরা যখন বিলাপ করি সেই সময় কিন্তু ভাষা অতটা শুদ্ধ হয় না। আমি যদি প্রিয়জনের মৃত্যুকান্নায় অন্যের ভাষায় বা কৃত্রিমভাবে শুদ্ধ শব্দ ব্যবহার করতে চাই, তাহলে নিশ্চয়ই আমার অন্তরের রক্তক্ষরণ প্রমাণিত হবে না। আনন্দের বেলাতেও একই কথা। মানে একবারে নিজভাষায় হর্ষ-বেদনার হল্লা-রোদন করতে না পারলে নিশ্চয় আমি আনন্দকে উপভোগ করতে পারব না এবং বেদনাতেও জড়িত হতে সক্ষম হব না। সে জন্যই দেখা যায় চরম ব্যথা পেলে, ভীষণ আনন্দ পেলে বাঙালি বাহুল্য এবং সাবধানতাবর্জিত আপন লোকভাষার কোলে আশ্রয় নেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তখনকার ফরিদপুরের মানুষ। এখন তার সেই অঞ্চলটি গোপালগঞ্জ জেলা। এই জেলার ভাষায় আঞ্চলিক শব্দ, বাচনভঙ্গি, স্বরলিপি বেশ উপভোগ্য। তারা ভাতকে বলেন বাত, হলদিকে বলেন ওলদি। তারা বলেন ওগের, আমাগের, পারিনাই, মার দিবানে, টাহা, কাহা, কোহানে এই রকম। এই ধরনের সৌন্দর্য আমরা ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেও লক্ষ্য করি। যেখানে ফরিদপুরের শব্দ এবং স্বরভঙ্গি ধ্বনিত হয়েছে। বুঝতে হবে ওই ক্ষেত্রে আবেগে, মেজাজে, রাগে, অন্তরের তাড়নায়, জাতীয় অনু-প্রাণনায় বঙ্গবন্ধুর অন্তরের অবস্থা পুরোমাত্রায় এক্সট্রিমে। যেমন: ‘গদিতে বসতে পারি নাই।’ ‘আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিবার চাই।’ ‘আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমরা বন্ধ করে দেবে।’ ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ ‘আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।’ ‘যারা পারেন আমার রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকা-পয়সা পৌঁছিয়ে দেবেন।’ ‘মানুষ যাতে তাদের মায়নাপত্র নেবার পারে...।’ ‘মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো-এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ শুধু যে ৭ মার্চের ভাষণে তা নয়, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের অজস্র ভাষণে এই রকম ফরিদপুরি শব্দের ও স্বরভঙ্গির উদাহরণ পাওয়া যাবে। যার মাধ্যমে মুজিবচারিত্র্যের মূল বাঙালির লোকগুণ যেমন পাওয়া গেছে, ওই ভাষণটিকে আশ্চর্য সৌন্দর্যেও তেমন প্রবহমান হতে দেখা গেছে।

৭ মার্চের অন্যতম বিশ্বসেরা ভাষণে যখন ভাষা আন্দোলনে আমাদের ব্যয়িত রক্ত-জীবনের সাহস স্মৃতি এবং গৌরবগাথা উচ্চারিত হয়, তখন বঞ্চনার শিকার, মুক্তিকামী জাতি তার সন্তান হারানোর বেদনায়, তার মাতৃভাষার মর্যাদাবোধে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। তারা যুগপৎভাবে স্মৃতিবিধুরতা এবং অনন্য বীরত্বের ইতিহাসের স্পর্শে প্রাণিত হয় স্বাধীনতার জন্য, মুক্তির জন্য, সত্য ও সুন্দরের জন্য। এবং লক্ষণীয় বিষয় হলো শেষপর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি রক্ত ও জীবনমূল্য দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। আর বলাই বাহুল্য পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একমাত্র ভাষাভিত্তিক প্রজাতন্ত্র। তাই ভাষাই আমাদের লোকশক্তি এবং চিরনতুন এক আশ্চর্য প্রাচীন।

বিলু কবীর: লেখক ও গবেষক [১৯৭১ সালের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে যুক্ত হয়েছে। তারই জন্যে বিলু কবীরের ‘মার্চ-অভিভাষণে লোকউপাদান’ শীর্ষক গবেষণাকর্ম থেকে অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরা হলো]

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :