ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে খুশিতে আপ্লুত বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মহিউদ্দিন

নাদিম মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জ
| আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ২১:৩৪ | প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ২১:২৫

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন ব্যাপক খুশি হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, এতোটাই আনন্দিত যে- প্রতিক্রয়া জানানোর কোন ভাষা আমার নেই। তবে পৃথিবীর পার্থিব যে কোন বস্তুর চেয়ে অনেক খুশির সংবাদ এটি।

তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আজ যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন। আর নিজ কানে এই খবর শুনতেন এবং পুরস্কারের সনদ গ্রহণ করতেন, তাহলে এর চেয়ে সুখ-আনন্দ আর কিছুই হতে পারে না।

১৯৭১ সালের মার্চের উত্তাল সময়ে বাঙালিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ মনে করে জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে সংস্থাটির স্বীকৃতি দানের তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই খবর মিডিয়াতে চলে আসলে মো. মহিউদ্দিন ঢাকাটাইমসকে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ৭ মার্চ সেই বজ্রকন্ঠ আজও শরীরে শিহরণ দেয়।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই রেসকোর্স ময়দানে যাই। বঙ্গবন্ধু জনসভা মঞ্চে উঠলেন। আমিও উঠে পেছনে দাঁড়ালাম। উপস্থিত লাখ লাখ মানুষের কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান চলছিল। এক অন্যরকম পরিবেশ বিরাজ করছিল রমনার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে লাখ লাখ জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানালেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু করলেন ভাষণ। ভাষণ দেয়ার পুরো সময় তাকে কোনো কাগজ থেকে পড়তে দেখিনি। অত্যন্ত সাবলীলভাবে তিনি বলে যাচ্ছিলেন। একের পর এক সাজানো কথামালার মতো বক্তব্য যখন দিয়ে যাচ্ছিলেন, আমার মনেও সন্দেহ হচ্ছিল- কোনো লিখিত কিছু আছে নাকি? বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকিয়ে দেখি, তিনি বলে চলেছেন সম্পূর্ণ নিজের মতো, নিজেরই কথাগুলো।

মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই বজ্রকন্ঠ আজও আমার শরীরে শিহরণ দেয়। আজও ভুলতে পারি না।

বঙ্গবন্ধুর এই একনিষ্ঠ সৈনিক বলেন, আমাকে রাখা হয়েছিল তাকে নিরাপত্তা দেয়া আমি নিজেই কখন যে হারিয়ে ফেলেছি ধ্যনজ্ঞান শুধু শুনছিলাম তার ভাষণ। আর এক একটি পয়েন্টে শরীর শিউরে উঠছিল। যখনই তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলছিলেন দুই হাত তুলে তালি দিচ্ছিলাম।

তিনি বলেন, জনসভা মঞ্চে হাততালি দেয়ার জন্য নয়, নিরাপত্তা দিতেই বঙ্গবন্ধুর পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু তারপরেও বঙ্গবন্ধু যখন ধাপে ধাপে সাজানো গোছানো ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন তার সাবলীল কথাগুলো গভীর মনোযোগে শুনছিলাম আর হাততালি দিচ্ছিলাম।

প্রসঙ্গত, মো. মহিউদ্দিন পাকিস্তান পর্বের শেষ তিন বছর আওয়ামী লীগের হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতেন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার সরকারি দায়িত্ব পান। প্রায় সাত বছর বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন।

(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :