মির্জাপুরে মামলার সাক্ষীকে পিটিয়ে জখম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৪৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ‘মিথ্যা’ চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় সাক্ষীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন মামলার বাদী আব্দুল বারেক মিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী পশ্চিমপাড়া মা সিএনজি পাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত নুরু মিয়া মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা। তাকে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মির্জাপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল বারেক তার চার শতক জমি বিক্রির করার জন্য একই গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের নিকট সাত লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে নগদ ও চেকের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা নিয়ে আব্দুল বারেক জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে বিদেশ চলে যান। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর আব্দুল বারেক দেশে আসলে প্রথমে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে চাইলেও পরে তালবাহানা করতে থাকেন। এনিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে আব্দুল বারেক জমি বিক্রির করার কথা বলে জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন এবং বাকি দেড় লাখ টাকা গ্রহণ করে জমি লিখে দেয়ার কথা বলেন। কিন্ত পরে জমি রেজিস্ট্রি না করে উল্টো জাহাঙ্গীর হোসেন তার পিতা হাজী সিরাজ মিয়াসহ ছয়জনের নামে টাঙ্গাইল আদালতে ‘মিথ্যা’ চাঁদাবাজি মামলা করেন। ওই মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় নুরু মিয়াকে সাক্ষী মানেন আব্দুল বারেক। কিন্ত নুরু মিয়া ‘মিথ্যা’ চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ধ্যায় আব্দুল বারেক লাঠি নিয়ে নূরু মিয়ার উপর হামলা চালান। লাঠির আঘাতে নুরু মিয়ার মাথা, মুখ, শরীর ও হাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হন।

আহত নুরু মিয়া বলেন, মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষী দিতে বেশকিছু দিন ধরে আমাকে চাপ দেয় বারেক। কিন্ত রাজি না হওয়ায় আমাকে পিটিয়ে জখম করেছে বারেক।

এ ব্যাপারে আব্দুল বারেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক বলেন, ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। আহত নুরু মিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :