ভোলায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রবাহ শুরু

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৫২

ভোলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের অনুসন্ধান কূপ শাহাবাজপুর ইস্ট-১ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।

বুধবার সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামে ড্রিল স্টেম টেস্টের (ডিএসটি) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।

বাংলাদেশ তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স জানিয়েছে, গত ২৩ আগস্ট প্রাথমিকভাবে এই কূপ থেকে সাত শত বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। যা সকাল থেকে এ পর্যন্ত উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ দুই ঘণ্টায় ২৫ মিলিয়ন ঘন ফুট হওয়ায় কর্তৃপক্ষ আশা করছে এ কূপ থেকে কাঙ্ক্ষিত গ্যাস পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক মূল্য হবে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে এর পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাপেক্স।

তারা আরও জানায়, শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের চারটি কূপ থেকে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুটি কূপ থেকে দৈনিক ৪০-৪১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সুন্দরবন কোম্পানিকে দেয়া হয়। যা দিয়ে ভোলায় অবস্থিত ২২৫ মেঘাওয়াট ও ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টসহ ভোলার আবাসিক চাহিদা পুরণ করা হয়। কিন্তু নতুন ক্ষেত্রটি পুরোপুরি চালু হলে গ্যাস উৎপাদন হবে দৈনিক ১০০ মিলিয়ন। যা সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে দিয়েও ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট অবশিষ্ট থেকে যায়। যা দিয়ে ভোলায় ছোট ও মাঝারি আকারের শিল্প প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব। কিন্তু ভোলায় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় ওই গ্যাস ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

এ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. নওশাদ ইসলাম জানান, শাহাবাজপুর ইস্ট-১ গ্যাস ক্ষেত্রটি অনুসন্ধানমূলক ক্ষেত্র ছিল। ২০১৫ সালে ত্রি-মাত্রিক ভূ-কম্পনের মাধ্যমে নতুন এ ক্ষেত্রটি চিহ্নিত করা হয়। আমরা তিনটি টার্গেট নিয়ে এ কুপটি খনন করি। আজ উদ্বোধনের পর আমরা প্রাথমিক যে তথ্য পাচ্ছি, এতে বলা যায় এ কূপটি ভালো গ্যাস মওজুদের স্থান। নিকট অতীতে এরকম ভালো মওজুদের কূপ আমরা আবিষ্কার করিনি।

তিনি আরও জানান, কূপটি চালু হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এটি ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা যে সম্ভাবনাটি করেছি সেটি আরও জোরদার হয়েছে। ৩-৪ দিন পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে তার পর আমরা এ ক্ষেত্রের মওজুদসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবো।

আশা করা য়ায শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের সব কয়টি কূপ মিলে এই গ্যাস ক্ষেত্রটির মজুদ এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ভোলার শাহাবাজপুরে ১৯৯৪ সনে প্রথম ৩৯০ বিসিএফ গ্যাস আবিষ্কার হয়। বর্তমানে দেশের ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে ভোলা শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ পঞ্চম।

(ঢাকাটাইমস/০১নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :