নারায়ণগঞ্জে শুভ্র হত্যার বিচার দাবি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৫১

নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় গার্মেন্ট কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন শুভ্র হত্যার দ্রুত বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে, মামলা তদন্তে ধীরগতি ও হত্যার সাড়ে ৩ মাসেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ফলে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।

বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন নিহত শুভ্রের বাবা শাহাদাৎ হোসেন শিকদার।

এসময় নিহত শুভ্রর মা শাহনাজ শিকদার, স্ত্রী শাকিলা আক্তার হিরা, ছোট বাই সাফফাত হোসেন সৌরভ, বোন সামান্তা শাহাদাৎ সাদিয়া, চাচা আওলাদ শিকদার ও ফজলুল হক শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা শাহাদাৎ হোসেন শিকদার জানান, নিহত শুভ্র ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকাতে অবস্থিত রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট কারখানা প্লামি ফ্যাশনে চাকরি করত। গত ১৫ আগস্ট শুভ্রর মোবাইলে কল করে তাকে ফতুল্লার মাসদাইরের আদর্শ স্কুলের উত্তর পার্শ্বের ‘মায়ের আচল’ নামে একটি নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনের ৭ম তলায় ডেকে নিয়ে যায় শহরের দেওভোগ আখড়ার গনেশ সাহার বাড়ির ভাড়াটিয়া দানেশ সাহার ছেলে বাবুল সাহা জীবন। সেখানে জীবনের সঙ্গে তার বন্ধু নাজমুল ইসলাম, সঞ্জয় দাস, মিলন, বশির, সমীর, কাওছারসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন ছিল।

তিনি অভিযোগ করেন, তারা শুভ্রকে মাথার পেছনে ও সামনে আঘাত করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য শুভ্রর লাশ ওইদিন রাত ৯টার দিকে শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যায়। পরে হাসপাতালের ধারণকৃত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বশির ও সমীর নিহত শুভ্রের লাশ হাসপাতালে রেখে যায়।

পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আনতে মর্গে গেলে পুলিশ আসামি বাবুল সাহা জীবনকে আটক করলে তার কাছ থেকে নিহত শুভ্রর ব্যবহৃত মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার পায়।

ওইসময় শুভ্রর পিতা ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এছাড়া কাউসার নামে এক আসামিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হলেও পুলিশ তাকে আটক দেখায়নি। এক সপ্তাহ পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে পুলিশ শুভ্র হত্যা মামলাটি গ্রহণ করে। ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে নিহতের মাথা, পেটে ও শরীরে অনেক আঘাতের দাগ ও চিহ্ন রয়েছে। এতে প্রতীয়মান তাকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আটক জীবন, নাজমুল ও মনাকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখায়।

এদিকে হত্যার দুই মাস যেতে না যেতেই রহস্যজনক কারণে শুভ্র হত্যা মামলাটি ঢাকা সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। দেড় মাস আগে তারা জানতে পারেন মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কোন তৎপরতা দেখাতে পারেননি।

এছাড়া হত্যার সাড়ে ৩ মাসেও গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত চার আসামি জীবন, নাজমুল, সমীর ও সঞ্জয়ের কেউই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তার গড়িমসির কারণে হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদঘাটন নিয়ে আমরা শঙ্কিত অবস্থায় দিনযাপন করছি- তিনি অভিযোগ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :