বঙ্গবন্ধু ও জেল হত্যার ঘটনায় দুটি ভুল: মুহিত
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যা ঘটনার পর দুটি ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বুধবার সন্ধ্যায় শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি স্মরণে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সি ইনস্টিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভাটি হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে।
ভুলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা ভুল ছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর সেই সামরিক চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াইনি। আর একটা ভুল ছিল ওই ঘটনায় চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিইনি।’
এমন কোনো ঘটনার প্রতিবাদ তাৎক্ষণিক করতে হবে উল্লেখ করে আবদুল মুহিত বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানে বলা আছে, কেউ যদি এমন ধরনের কাজ করে, তবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। এমন অ্যাডভেঞ্চারিস্টরা যাতে কোনো দিন এমন সুযোগ নিতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।’ একটা দুষ্টচক্র সব সময়ই দেশের প্রগতিকে পেছনে নিয়ে যেতে সক্রিয় থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জেল হত্যার মতো ঘটনা পৃথিবীতে খুব কম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন ‘এমনই দুর্ভাগা দেশ, যেখানে জেলখানার মতো জায়গায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে জাতীয় নেতাদের হত্যা করা হয়।’
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। তারা হলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেম এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
এম মনসুর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বিমানমন্ত্রী রামেদ খান মেনন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর নিয়ে কক্সবাজার যাওয়াকে নাটক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা তিন মাস পরে ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন। তিনি রানী ভিক্টোরিয়া হয়ে গেছেন। খালেদা জিয়া মাত্র পনেরো মিনিটের জন্য কোটি কোটি টাকার গাড়িবহর নিয়ে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে গেছেন, সেটা ছিল পথনাটক। তার যদি রোহিঙ্গাদের জন্য মায়াই হতো, তিনি গাড়িবহরে বিশাল খরচ হয়েছে সেটা না করে সেটা তাদের দিয়ে দিতেন।’
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। আর তখনই দেখা যাবে কারা হামলা করেছে।’
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপিকে সতর্ক করে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘বিএনপি যদি এই নির্বাচনে না আসে তা হলে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবেন। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। আর জনগণ যাকে ভোট দেবে আমরা মেনে নেব।’
(ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/এনআই/মোআ)