খালেদার স্থায়ী জামিন আবেদন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৩২ | প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:১৯
ফাইল ছবি

আদালতে উপস্থিত হয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার করা স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার মাধ্যমে দুই মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করেন।

জামিনের আবেদনে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, খালেদা জিয়া দুই মামলায় ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিনে রয়েছেন। তিনি বয়স্ক নারী। তাই সব দিক বিবেচনা করে তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করা হোক।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে অসমাপ্ত বক্তব্য না দেয়ার জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করেন। উচ্চ আদালতে এই মামলার বিষয়ে একটি আবেদনের শুনানি রবিবার হবে সেকথা জানিয়ে এবং কক্সবাজার সফর শেষে ফেরার পর শারীরিকভাবে খালেদা জিয়া অসুস্থ জানিয়ে এ আবেদনটি করা হয়।

কিন্তু আদালত আবেদন খারিজ করে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেয়ার জন্য দশ মিনিটের বিরতি দেন। পরে বেলা একটা ১০ মিনিটে খালেদা জিয়া অসমাপ্ত বক্তব্যে দেয়া শুরু করেন।

এর আগে আদালতে আসার জন্য সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে থেকে বের হন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে তিনি আদালতে পৌঁছান।

গত ১৯ অক্টোবর দুই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিশেষ আদালতে প্রথম বক্তব্য উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়া। ওইদিন জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে এক লাখ টাকার মুচলেকায় জামিন পান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

পরে ২৬ অক্টোবর রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এরপর আদালত মামলার শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে: মঈন খান

দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না: সালাম

নির্বাচনের পর বিরোধী দলগুলোর ওপর নানা কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল

বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী জনগণকে সরকার বন্দি করে রেখেছে: রিজভী 

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে আ.লীগের ‘মানা’

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি নেতা হাবিব কারাগারে

উপজেলা নির্বাচন সরকারের আরেকটা ‘ভাঁওতাবাজি': আমীর খসরু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :