নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন নিশ্চিত করা হয়েছে: বিএসএমএমইউ ভিসি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। তিনি বলেছেন, অন্যান্য হাসপাতালেও এখন আর পেশাদার রক্তদাতা নেই বললেই চলে। মানুষ এখন স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগের তুলনায় অনেক বেশি উৎসাহিত হয়েছে, উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবসের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। দিনটি উপলক্ষে বিএসএমএমইউ ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য বলেন, ১৯৭২ সালে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরে (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিববুর রহমান ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্বোধন করেছিলেন। তাই জাতীয়ভাবে নিরাপদ রক্তপরিসঞ্চালন পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান শতভাগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস প্রচলনের কথা স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, ‘রক্ত সংগ্রহের স্বচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী ১৯৭৮ সালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তী সময়ে সরকারিভাবে ২ নভেম্বর জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ঘোষণা করা হয়। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, পরিচালক (পরিদর্শন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহকারী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, ডা. খান আনিসুল ইসলাম, ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন, কাউন্সিলর সুব্রত বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।
(ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/এএ/মোআ)