প্রথমবারের মতো ভারতীয় গাড়ি নিয়ে জাহাজ মংলা বন্দরে
ভারত থেকে প্রথমবারের মতো নৌপথে ১৮৩টি গাড়ি নিয়ে একটি জাহাজ মংলা বন্দরে ভিড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের চেন্নাই বন্দর হতে মংলা বন্দরে ওই জাহাজটি নোঙ্গর করে।
২০১৫ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৮৩টি ট্রাক (চেসিস) নিয়ে এমভি আইডিএম ডুডল নামে ওই ভারতীয় জাহাজটি মংলা বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করে। এতে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়বে। ফলে মংলা বন্দরের ব্যবহার বাড়বে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) মো. সোহাগ সন্ধ্যায় বলেন, ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের সাথে বাংলাদেশের উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৮৩টি ট্রাক (চেসিস) নিয়ে প্রথমবারের মতো এমভি আইডিএম ডুডল নামে ওই ভারতীয় জাহাজটি মংলা বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করে। এই জাহাজটির পন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের অশোক লে-ল্যান্ড এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ইফাদ অটোস লিমিটেড। এতে করে ভারতের আমাদের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে, যার ফলে মংলা বন্দরের ব্যবহার বাড়বে বলে মনে করছেন ওই বন্দর কর্মকর্তা।
ভারতীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অশোক লে-ল্যান্ড’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক তন্ময় মিত্র বলেন, চেন্নাই থেকে মংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানির ফলে আগের তুলনায় সময় খরচ দুইটাই বাঁচবে। তাছাড়া এদেশের আমদানিকারকদেরও অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় গাড়ি সরবরাহ করা যাবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইফাদ অটোস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, আগে বাংলাদেশে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় গাড়ি আমদানি করা হচ্ছিল। এতে একদিকে সময় বেশি লাগছিল এবং অনেক সময় গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাতে করে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল। দুই দেশের সরকার গাড়ি আমদানিতে উপকূল পথ বেছে নেয়ায় সবাই লাভবান হবে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সদস্য ও মংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় কোস্টাল শিপ এগ্রিমেন্ট’র আওতায় জাহাজটি মংলা বন্দরে এসেছে। সড়ক পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে এসকল পন্য আসায় পরিবেশ দূষণ যেমন গঠতো তেমনি পন্যের ক্ষতিও হতো। এখন থেকে নদী পথে ভারতীয় পন্য বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি অব্যাহত থাকলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়বে বলে মনে করছেন এই বন্দর ব্যবহারকারী।
(ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)