আরও বেশি কাজ করতে পারলে ভালো লাগত

ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৪১ | প্রকাশিত : ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:১৫

সমুদ্রসৈকত আর পর‌্যটনের জন্য সারা বছরই সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় থাকে কক্সবাজার। এবার রোহিঙ্গা ইস্যু, বন্যাসহ নানা কারণে আরো বেশি আলোচিত এই সাগর-দুহিতা। এসব বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা বলেন কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল। আলাপচারিতায় উঠে আসে কক্সবাজারকে ঘিরে তার আগামী দিনের পরিকল্পনা, নির্বাচন ভাবনাসহ আরো নানা বিষয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাটাইমসের নিজস্ব প্রতিবেদক বোরহান উদ্দিন ও কক্সবাজার প্রতিনিধি বলরাম দাশ অনুপম

ঢাকাটাইমস: আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বলে খবর হচ্ছে। এতে কক্সবাজারের মানুষের মধ্যে ভয় আছে। এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

সাইমুম সরোয়ার: বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। ঠিক সে সময়ই আমরা কিছু বিষয়ে সতর্ক ছিলাম। অনেক প্রশ্ন আমাদের সামনে চলে এসেছিল। পর‌্যটন বড় নাকি মানুষ বড়? পরিবেশ বড় না মানুষ বড়? আইনশৃঙ্খলা বড় নাকি মানুষ বড়? আমরা মানুষ বড় মনে করেই মানবিকতার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ১৭ কোটি মানুষকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি তাহলে আট-দশ লাখ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের পক্ষে অসম্ভব না। এটা বোঝাও হবে না। আর মানুষ থাকলে কিছু না কিছু অনিয়ম দেখা যেতে পারে। কিন্তু আবার নিয়মের মধ্যেও নিয়ে আসা যায়।

ঢাকাটাইমস: রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য সামনে আর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

সাইমুম সরোয়ার: গোটা বিশ্বে প্রথম রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমরাই প্রথম মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলি। রামুতে মানববন্ধন করে আমি প্রথম বক্তব্য দিয়েছি।

আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছি। ৫ নভেম্বর রামুর ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ি থেকে এক কেজি করে চাল নিয়ে ১০১ ট্রাক চাল ত্রাণ সহায়তা আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য নিয়ে যাব।

ঢাকাটাইমস: বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বেশি দিন রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করা যাবে না। তাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের প্রতি চাপ প্রয়োগের জন্য বলেছেন তিনি।

সাইমুম সরোয়ার: এটা বেগম খালেদা জিয়া দুই মাস পাঁচ দিন পর বুঝলেন। আর আমরা প্রথম দিন থেকেই বুঝেছি। তাই এ কথা আগে থেকেই বলে আসছি।

ঢাকাটাইমস: সামনে নির্বাচন আসছে। আবার প্রার্থী হওয়ার চিন্তা আছে কি না? দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে কতটা আশাবাদী?

সাইমুম সরোয়ার: আমার এলাকায় নানা দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিলাম সব সময়। উন্নয়নে কাজ করেছি। দল ইতিমধ্যে আমাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছে। সেই হিসেবে আমরা এখন এগিয়ে যাচ্ছি।

ঢাকাটাইমস: কক্সবাজার শহরের রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো দেখছি না। সাধারণ মানুষসহ পর‌্যটকরা দুর্ভোগের কথা বলছেন।

সাইমুম সরোয়ার: প্রতিবছর বন্যা, পাহাড়ি ঢলের কারণে শহরের রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এ কারণে রাস্তা প্রতিবছর সংস্কার করতে হয়। এখন যে রাস্তার ভঙ্গুর অবস্থা দেখছেন এটা গত বন্যার ফল। আমরা শিগগির এই অবস্থার সংস্কারে কাজ করব। আশা করি মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে।

ঢাকাটাইমস: নিজের কাজ নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?

সাইমুম সরোয়ার: আমার এলাকায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেডিকেল কলেজ হয়েছে। পাঁচটি বড় ব্রিজের কাজ শেষ। নতুন নতুন স্কুল তৈরির পাশাপাশি কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর করা হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নও সমানতালে চলছে। আসলে সন্তুষ্টির শেষ নেই।

ঢাকাটাইমস: কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।

সরোয়ার সাইমুম: বিমানবন্দরের রানওয়ের ৮০ ভাগ কাজ শেষ। বাকি কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করি। জর্ডানের রানী বিমানে সরাসরি কক্সবাজার এসেছেন। কক্সবাজার থেকে জর্ডান গেছেন। মাঝখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম দরকার হয়নি। বিমানবন্দরের কাজ একেবারে পিছিয়ে নেই।

ঢাকাটাইমস: আপনি এমপি হিসেবে নিজের এলাকায় কোন বিষয়ের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন?

সাইমুম সরোয়ার: স্বাধীনতার আগে কক্সবাজার সদরে হাইস্কুল হয়েছিল ছয়টি। রামুতে হয়েছিল পাঁচটি। স্বাধীনতার পর সদরে ১৬টি। আর রামুতে হয়েছিল ১২টি। সে হিসেবে স্বাধীনতার ৪৪ বছরে হয়েছে ২৮টি হাইস্কুল। মাত্র সাড়ে তিন বছরে আমরা করেছি ১৯টি।

ঢাকাটাইমস: সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় এলাকার জন্য কাজ করার বিষয়ে কোনো অপূর্ণতা আছে বলে মনে করেন?

সাইমুম সরোয়ার: অপূর্ণতার কথা যদি বলেন তাহলে বলব, কক্সবাজারের মানুষের জন্য যদি আরো বেশি কাজ করতে পারতাম, আরো বেশি ভালো লাগত।

ঢাকাটাইমস: আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা ও নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য আপনার বক্তব্য শুনতে চাই।

সাইমুম সরোয়ার: আমরা আরো উন্নয়ন করতে চাই। কক্সবাজার-রামু একদিন বন্যামুক্ত হবে। আমাদের স্বপ্ন কক্সবাজারের ঘরে ঘরে আইটি ব্যবসা শুরু হবে। আমাদের স্বপ্ন কক্সবাজারের ছেলেমেয়েরা আগামী দিনে পৃথিবীর উন্নত শহরগুলোর একটি শহরে যোগ্য হয়ে বেড়ে উঠবে।

ঢাকাটাইমস: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

সাইমুম সরোয়ার: ঢাকাটাইমস ও আপনাকেও ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/৩নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সাক্ষাৎকার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সাক্ষাৎকার এর সর্বশেষ

‘স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনীতির স্বার্থে সরকারকে ভারসাম্যমূলক নীতি-উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে’: ড. আতিউর রহমান

প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল আর্মিরা ধরে নিয়ে যাবে: ফরিদা খানম সাকি

দাম বাড়ালে এতক্ষণে কার্যকর হয়ে যেত: ক্যাব সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন

জন্ম থেকেই নারীদের যুদ্ধ শুরু হয়: নারী উদ্যোক্তা ফরিদা আশা

নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই

ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম করা উচিত: কাউন্সিলর আবুল বাশার

তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে: অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান

বেইলি রোডের আগুনে রাজউকের ঘাটতি রয়েছে: মো. আশরাফুল ইসলাম

নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ভবন অনুমোদন দিতে হবে: ইকবাল হাবিব

বীমা খাতে আস্থা ফেরাতে কাজ করছি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নুল বারী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :