উন্নয়ন মেলায় সর্বোচ্চ সম্ভাবনাময় পণ্য ‘বাসক চা’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে আয়োজিত ছয় দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা-২০১৭ শেষ হয়েছে শুক্রবার। প্রান্তিক পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)এ মেলার আয়োজন করে। এই মেলায় সর্বোচ্চ সম্ভাবনাময় পণ্যের তালিকায় বাসক পাতার তৈরি চা প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৯ অক্টোবর রবিবার থেকে শুরু হওয়া ছয় দিনের এই উন্নয়ন মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও আইটি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯০টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩টি স্টল অংশগ্রহণ করে। মেলার এই ছয় দিনে ১১টি প্রতিষ্ঠান তাদের স্টলে পণ্য প্রদর্শন ও ৭৯টি প্রতিষ্ঠান স্টলে বিক্রির পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে পাঁচটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী বক্তব্যে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামন বলেন, ‘আমরা বিদেশের অর্থায়নের উন্নতি করবো এই আশায় বসে থাকবো না। আমরা নিজেরদের পায়ে নিজেরা দাঁড়াবো। প্রত্যেক সদস্যের দারিদ্র্য পরবর্তী টেকসই উন্নয়নে ও দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকার রাখবো। পিছিয়ে পড়া পিছিয়ে নয়। প্রত্যেকের সক্ষমতা, আত্মশক্তি বৃদ্ধি এবং মানব মর্যাদা অর্জনে তাদের পাশে থাকবো।’
মেলায় ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের স্টলে মোট বিক্রি এক কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা এবং ৫২ লাখ ২৭ হাজার টাকার ফরমায়েশ পাওয়া গেছে। মেলায় এই পাঁচ দিনে সর্বোচ্চ বিক্রির দিক দিয়ে প্রথম হয়েছে দিশা স্বেচ্ছাসেবী এবং সর্বাচ্চ ফরমায়েশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হয়েছে সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিষ্ঠানটি। একই সাথে সর্বোচ্চ সম্ভবনাময় পণ্যের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছে বাসক পাতার চা।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য এই উন্নয়ন মেলা-২০১৭ উন্মুক্ত রাখা হয় এবং মেলা প্রাঙ্গণে প্রতি সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
(ঢাকাটাইম/০৩নভেম্বর/এএকে/জেবি)