যশোরে স্বাস্থ্যকর্মী হত্যায় গ্রেপ্তার ২
যশোরের চৌগাছায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ইয়াসির আরাফাত ওরফে পলাশ (৩৫) খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে শুক্রবার মামলাটি করেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া আল-আমিন নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
তবে খুনের সময় ছিনতাই হয়ে যাওয়া তার সুজুকি ব্রান্ডের মোটরসাইকেলটি শুক্রবার পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি।
গ্রেপ্তার ও আটক ব্যক্তিরা হলেন- নিহতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মচারী কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের খোকাই শেখ ওরফে লেটা শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান, চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের জিল্লু মৃধার ছেলে আব্দুল জব্বার ও বলু বিশ্বাসের ছেলে আল-আমিন।
পুলিশ জানায়, কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরির পাশাপাশি ইয়াসির আরাফাত কেবল (ডিশ লাইন) ব্যবসা করতেন। তার এই ব্যবসার পরিধি হাকিমপুর ইউনিয়নের আটটি গ্রামজুড়ে। নিহতের পরিবারের ধারণা, কেবল লাইনের (ডিশ) ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পুলিশও এই বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বাদআছর নামাজে জানাজা শেষে তাকে হাকিমপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে দুপুরে নিহতের বর্তমান আবাসস্থল কোটচাঁদপুর শহরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছালে সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার যাত্রাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এজহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)