‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও গ্রেনেড হামলাকারীরা এখনো সক্রিয়’
সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, একাত্তরে যারা বিরোধীতা করেছে তারাই এদেশের সাংকৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংস করার জন্য উদিচিসহ দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে। আজও তারা এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একাত্তরের বিরোধী শক্তিকে দেশ থেকে নির্মূল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার বেলা ১১ টায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি স্টেডিয়াম মাঠে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে এ উৎসব হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জঙ্গিবাদ কোন নতুন বিষয় নয়। ১৯৭১ সালে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল সেই সময়ের পরাজিত সেই শক্তিই ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করেছিল, সেই একই গোষ্ঠী বাংলা ভাইয়ের জন্ম দিয়েছিল। ওই গোষ্ঠী গতবছরের ১লা জুলাই হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ২০জনকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, সেই গোষ্ঠী এখনও সক্রিও। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তারা দেশের সাংস্কৃতি অঙ্গনকে ধ্বংস করছে।
ধর্মের নামে যারা মানুষ হত্যা করে আর যাই হোক তারা কোন ধর্মের মানুষ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. সামছুল আলম দুদুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম, আব্দুস সোবাহান, দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম আবুল কাশেম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অবসরপাপ্ত শিক্ষক ড. অজয় রায়, গিয়াস উদ্দীন মোল্লা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এনআই খান, ধরিত্রী বাংলাদেশ এর সম্পাদক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান সিদ্দিকী, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোকাম্মেল হোসেন, পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, সাংস্কৃতিক উৎসবের সদস্য সচিব পাঁচবিবি পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী উৎসবে লোকগীতি বা পল্লীগীতির ভাওইয়া, গম্ভীরা, কবিগান, ভাটিয়ালি, জারী-সারি, মুর্শিদী, বাউল তথা লালনগীতি, গন সংগীত, পুঁথিপাঠ, আদিবাসী নৃত্য, নাটক, যাত্রাপালা, র্বাশি, দোতরা বাদনসহ থাকবে নানা ধারার আয়োজন।
(ঢাকাটাইমস/০৪নভেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)