স্কুলছাত্র হাসান হত্যায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর ডেমরার ক্যামব্রিজ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. হাসানকে (১৩) অপহরণের পর হত্যা মামলায় আসামি মো. শাজাহান ও মো. বিল্লাল চাপরাশির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
রবিবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহারগর দায়রা জজ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা পেশায় রংমিস্ত্রি ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা ওই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় ঘোষণার পর নিহত হাসানের বাবা আনোয়ার হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দ্রুত এ রায়ের কার্যকারিতা দেখতে চাই।
আদালত মামলাটির বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষের ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাজহারুল হক ও ভিকটিম পক্ষে অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিম ফরিদী এবং আসামিপক্ষে আ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন তালুকদার মামলা পরিচালনা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১০ জুলাই বাদী আনোয়ার হোসেনের ছেলে হাসান বেলা ৩টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। ফিরে না আসায় পরদিন বাদী ডেমরা থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ১২ জুলাই মোবাইল ফোনে আসামিরা পাঁচ লাখ মুক্তিপণ দাবি করে টাকা নিয়ে মাওয়া ঘাটে যেতে বলে। এরপর ১৩ জুলাই বাদী থানায় অপহরণের মামলা করেন। ছেলেকে পাওয়ার আশায় আসামিরদের কথা মতো বাদী ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দেন। এরপর ডিবি পুলিশ ২২ জুলাই আসামি বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যমতে ওইদিনই আসামি শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ডেমরা থানাধীন ডগাইড় এলাকার জনৈক বশির উদ্দিনের টয়লেটের স্লাবের উপর মাটিচাপা অবস্থায় শিশু হাসানের খণ্ডিত লাখ উদ্ধারে করা হয়।
আসামিরা অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। সেখানে তারা স্বীকার করেন যে, ল্যাপটপ শেখার কথা বলে আসামিরা হাসানকে বাসা থেকে বিল্লালের ঘরে ডেকে নিয়ে যান। এরপর প্রথমে তারা মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে মুখে কস্টেপ লাগিয়ে খাটের নিচে ফেলে রাখেন। এরপর শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর লাশ টুকরা টুকরা করে ছয়টি বস্তায় ভরে বশির উদ্দিনের টয়লেটের স্লাবের উপর মাটিচাপা দিয়ে লুকিয়ে রাখেন।
(ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/আরজেড/জেবি)